ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা পরিষদ সদস্য ও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যের লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন। ভাঙচুর করা হয়েছে ৩০টি ঘরবাড়ি। পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাসের শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের কালীসীমা গ্রামে সোমবার এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ রয়েছে, জেলা পরিষদ সদস্য বাবুল মিয়া ও নাটাই দক্ষিণ ইউপি সদস্য আরজু মিয়ার পক্ষের লোকজন এই সংঘর্ষে জড়ায়।
এদিকে ঘটনায় ২৪ জনকে থানায় আটকে রাখা হয়েছে। মামলা হলে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
জানা গিয়েছে, গত রবিবার রাতে বীর মুক্তিযোদ্ধা শামছুল হক শওকত ও তাঁর ছেলে মিল্লাত মিয়ার ওপর হামলা হয়। ইসমাইল মিয়া, শহিদ মিয়াসহ তাঁদের লোকজনের বিরুদ্ধে এ হামলার অভিযোগ ওঠে।
এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়াধাওয়ি হয়। রাতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্যদের উপস্থিতিতে বিষয়টির মীমাংসা হয়। পরদিন সোমবার সকালে দুই পক্ষের নেতাদের থানায় ডেকে আনে পুলিশ। সেখানে আলোচনা চলার সময় আবার সংঘর্ষের খবর আসে। জেলা পরিষদ সদস্য বাবুল মিয়া ও নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আরজু মিয়ার পক্ষ নিয়ে পাঁচটি গোষ্ঠীর লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়।সংঘর্ষে নারী ও শিশুদেরও অংশ নিতে দেখা যায়। সকাল ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে। এ সময় অন্তত ৩০টি ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম বলেন, জেলা পরিষদ সদস্য ও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যের লোকজন দুটি পক্ষ হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর সন্তানকে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত। এ নিয়ে থানায় মীমাংসার সভা চলাকালে সংঘর্ষে জড়ানোর বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি মো. আসলাম হোসেন জানান, একাধিক জনপ্রতিনিধিসহ ২৪ জনকে থানায় আনা হয়েছে। মামলা হলে সে অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।