মামলার দীর্ঘসূত্রিতায় ঠাকুরগাঁওয়ের আদালতে দিনের পর দিন ধরনা দিচ্ছেন বিচারপ্রার্থীরা। অন্যদিকে হয়রানির শিকার হয়ে পরবর্তী তারিখে হাজিরার জন্য বাড়তি খরচ হচ্ছে তাদের। আইনজীবীরা বলছেন, বিচারক স্বল্পতার কারণেই এ অবস্থা।
১৭ হাজারের বেশি বিচারাধীন মামলাজটে পড়ে আদালত চত্বরে আইনজীবীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ঠাকুরগাঁওয়ের বিচারপ্রার্থীরা। জেলার পাঁচটি উপজেলার ছয়টি থানার মামলা ছাড়াও আদালতে করা মামলার বিচারকার্য পরিচালিত হয় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা ও দায়রা জজকোর্টের ১৮টি আদালতে।
কিন্তু দুটি কোর্টে ১৮ জন বিচারক থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন ১২ জন। দীর্ঘদিন ধরে বিচারক শূন্যতায় দেওয়ানি, ফৌজদারি, আমলি ও নারী শিশু এবং মানবপাচার মামলার রায় অপেক্ষমাণ থাকায় জট বেঁধেছে।
এসব মামলার পক্ষ বিপক্ষের বিচারপ্রার্থীরা দূর-দূরান্ত থেকে এসে দিনের পর দিন আদালত চত্বরে ধরনা দিলেও সময়মতো রায় না পাওয়ার অভিযোগ তাদের। আর আইনজীবীরা বলছেন, বিচারক স্বল্পতার কারণেই এমন আবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা আইনজীবী সমিতির অ্যাডভোকেট ইমরান হোসেন চৌধুরী জানান, বিচারক সংকটের কারণেই মানুষের দিনের পর দিন ঘুরতে হয়।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এনতাজুল হক বলেন, ১২ জনকে দিয়ে ১৮ জনের কাজ করতে হয়।
এতে দীর্ঘদিন ধরে বিচারক শূন্যতায় দেওয়ারি, ফৌজদারি, আমলি ও নারী শিশু এবং মানবপাচার মামলার রায় অপেক্ষমাণ থাকায় জট বেঁধেছে। জেলার প্রায় ১৬ লাখ মানুষের ন্যায়বিচারের ভরসাস্থল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা ও দায়রা জজকোর্ট।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্ট নিউজ ২৪