খুলনায় স্কুলে যাওয়ার পথে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক স্কুলছাত্রী (১৪) । ঘটনার পরেই ৩ জন ধর্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ । সোমবার গ্রেফতাররা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেফতাররা হলেন- দেয়াড়া দক্ষিণপাড়ার ইয়ারুফ বিশ্বাসের ছেলে মো. শান্ত বিশ্বাস (২১) ও তার দুই বন্ধু।
দিঘলিয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রিপন কুমার সরকার বলেন, শেষের দুই আসামির বয়স ১৮ বছরের নিচে বিধায় তাদের অপরাধের বিচার শিশু আইনে হতে পারে।
ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় বাদি হয়ে ওই কিশোরীর মা থানায় মামলা করেছেন।
জানা যায়, রোববার (২৭ মার্চ) সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯ টার দিকে স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ওই কিশোরী সহপাঠীদের সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। বেলা আনুমানিক ১১টার দিকে আমবাগান এলাকায় পূর্বপরিচিত শান্ত তার গতিরোধ করেন এবং তার সঙ্গে যেতে বলেন। কিশোরী এই সময় তার সঙ্গে যেতে রাজি না হলে শান্ত তার হাতে থাকা হাতুড়ি দিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ওই আমবাগানের ভেতর নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে শান্তর অপর দুই বন্ধু কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।
এ সময় কিশোরীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ৩ জনই পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী ঘটনাটি দিঘলিয়া থানা পুলিশকে জানালে তাৎক্ষণিকভাবে দিঘলিয়া থানার ওসি মো. আহসানউল্লাহ চৌধুরী ও ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রিপন কুমার সরকারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করে।
আমাদের ফেইসবুক লিঙ্ক : ট্রাস্ট নিউজ ২৪