পেঁয়াজের চাহিদা মেটাতে এবার বিকল্প হিসাবে নতুন জাতের পাতা পেঁয়াজের উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট। যেটি প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক ভাবে আবাদ করা হয়েছে ফরিদপুর মসলা গবেষণা উপকেন্দ্রে। স্বাদে গন্ধে একই রকম হওয়ায় বারি জাতের এই পাতা পেঁয়াজের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি কৃষকদের মাঝে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে দিতে পারলে দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি মেটানো সম্ভব হবে। সারা বছর-জুড়ে এই পাতা পেঁয়াজ বাড়ির আঙ্গিনায়, ছাদের টবেও আবাদ করা সম্ভব বলে মত দিয়েছেন কৃষিবিদরা। গত বছরের প্রথম দিকে পেঁয়াজের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দামও বেড়েছে পেঁয়াজের। দেশের চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করতে হয় পেঁয়াজ। কিন্তু পেঁয়াজের দাম কমেনি।
বাজার নিয়ন্ত্রণ, চাহিদা মেটানো ও বৈদেশিক নির্ভরতা কমাতে বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট উদ্ভাবন করেছে বারি পাতা পেঁয়াজ-১ নামের নতুন একটি জাত। ফরিদপুরে মসলা গবেষণা উপকেন্দ্রে এই পাতা পেঁয়াজের পরীক্ষামূলক আবাদ শেষে তা ছড়িয়ে পড়েছে কৃষক পর্যায়ে। চারা রোপণের ২ মাস পর থেকেই পাতা সংগ্রহ করা যায়। মে-জুন মাসে বীজ বপন করলে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ থেকে ৪ বার পাতা সংগ্রহ করা যায়। সব মাটিতে আবাদ হলেও বেলে দোআঁশ মাটিতে ভালো ফলন হয়। ৪০-৫০ সেন্টিমিটার উচ্চতার প্রতিটি গাছের গোঁড়া থেকে ৪-৫ টি করে চারা বের হয়। হেক্টর প্রতি ৭ থেকে ৮ টন পাতা পাওয়া যায়।
ফরিদপুর মসলা গবেষণা উপকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলাউদ্দিন জানান, পাতা পেঁয়াজের বিষয়টি কৃষকদের নজরে এসেছে। এটির ব্যবহার বাড়াতে এখানে প্রদর্শনী প্লট করা হয়েছে। পরীক্ষামূলক ভাবে পাতা পেঁয়াজের চাষ করে সাফল্য পাওয়া গেছে। এটি সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারলে পেঁয়াজের চাহিদা কমে আসবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. হযরত আলী বলেন, দেশের পেঁয়াজের সংকটময় সময়ে পেঁয়াজের ব্যবহার কমিয়ে পাতা পেঁয়াজের ব্যবহার বাড়াতে পারলে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে না।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্টনিউজ২৪