আমেরিকা ও ফ্রান্স সম্প্রতি স্বাক্ষরিত নাগরনো-কারাবাখ শান্তিচুক্তি পুনর্মূল্যায়নের চেষ্টা করছে এমন অভিযোগ এনে তা প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) মস্কোয় ল্যাভরভ বলেন, নাগরনো-কারাবাখে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে সম্প্রতি আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে তাকে আর্মেনিয়ার পক্ষে পরিবর্তনের যে চেষ্টা আমেরিকা ও ফ্রান্স করছে তাকে সফল হতে দেবে না রাশিয়া।
ল্যাভরভ আরও বলেন, রাশিয়ার মধ্যস্থতায় ওই চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে সংঘর্ষপীড়িত নাগরনো-কারাবাখে আন্তর্জাতিক রেডক্রসের তৎপরতা চালানোর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি ওই অঞ্চলে মানবিক ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা চালাতে জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থার প্রতিও আহ্বান জানান। রাশিয়ার তত্ত্বাবধানে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান নাগার্নো-কারাবাখে যুদ্ধ বন্ধে সম্মত হয়ে।এই দুই দেশের স্বাক্ষরিত চুক্তিতে বলা হয়েছে, আর্মেনিয়া দখলিকৃত অগদাম, লাচিন ও কালবাজার এলাকা আজারবাইজানের কাছে হস্তান্তর করবে। চুক্তি অনুযায়ী কারাবাখ অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য আজারবাইজানের লাচিনকে করিডোর হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি পাবে আর্মেনিয়া।
এদিকে শান্তিচুক্তি অনুযায়ী আর্মেনীয়দের বিরোধীয় অঞ্চল আজারবাইজানের কাছে ছেড়ে দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে রোববার (১৫ নভেম্বর) মধ্যরাতে সময়সীমা শেষ হলেও তবে মানবিক দিক বিবেচনা করে আরও ১০ দিন সময় বাড়ায় আজারবাইজান। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, বিরোধীয় কালবাজার অঞ্চলের বাসিন্দারা চুক্তি অনুযায়ী তাদের বসতি রোববার ছেড়ে দেয়ার কথা। ওই অঞ্চলটি কয়েক দশক ধরে আর্মেনীয়রা বসবাস করে আসছে। তবে আজারবাইজান ওই অঞ্চলটি সম্পূর্ণ খালি করতে আরও ১০ দিন সময় বাড়িয়েছে।
আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হিকমত হাজিয়েভ জানায়, কালবাজারে আর্মেনীয় বাহিনী ও তাদের অবৈধ বাসিন্দাদের এলাকাটি ছাড়ার জন্য ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লামিদির পুতিনের মাধ্যমে আর্মেনীয়রা সময় বাড়ানোর অনুরোধ করেছে। মানবিক কারণে ইলহাম আলিয়েভ প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছেন।