করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ডুবেছে প্রাচীন সভ্যতার দেশ ইতালি। গড়ে ৩০ হাজারের বেশি আক্রান্ত হচ্ছে প্রতিদিন। প্রথম পর্যায়ের ভাইরাস আগ্রাসনকে যেমনভাবে ঠেকিয়ে দিতে পেরেছিল ইতালি সরকার- দ্বিতীয় পর্যায়ে এসে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রতিটা ক্ষেত্রে। অর্থনীতিকেও রক্ষা করা যাচ্ছে না কোনভাবেই। বর্তমানে ইতালির করোনা সংকট জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। দু’সপ্তাহ আগে প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে বলেছিলেন, আগামী মার্চ মাসে সমগ্র ইতালিতে ৩ ইউরোতে মিলবে করোনার ভ্যাকসিন।
কিছু দিন পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবার্তো স্প্যান্সি বলেন, আগামী জানুয়ারিতে মিলবে করোনার ভ্যাকসিন। এখন আবার সরকার বলছে ডিসেম্বরেই মিলবে কার্যকরী ভ্যাকসিন। কিন্তু এই ভ্যাকসিন কোথায় থেকে আসবে বা কোন প্রতিষ্ঠান সরবরাহ করবে কিংবা ইউরোপের কোন দেশ তার যোগান দেবে তার কোন সঠিক উত্তর নেই সরকারের কাছে। এদিকে গত দুদিন আগে হঠাৎ করেই ইতালিয়ান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ৪০০ মিলিয়ন ইউরো বরাদ্দ দেয় সার্স কোভি টু ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য। ইতালির সাকু হসপিটাল ও স্টেট ইউনিভার্সিটি অব মিলান যৌথভাবে সার্স কোভি টু ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছিল। সার্স কোভি টু করোনা গোত্রের একটি ভাইরাস।
এ অবস্থায় ধারণা করা হচ্ছে, ইতালি তাদের পরিচিত পথেই হাঁটছে। এই ভাইরাসের প্রতিষেধকই করোনা টিকার জন্য ব্যবহৃত হবে কিনা তা নিয়ে চলছে বিশ্লেষণ। এদিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বাংলাদেশিদের মধ্যে সংক্রমণের মাত্রা বেড়েছে অত্যধিক হারে। শতকরা ৫০ শতাংশ বাংলাদেশি ইতালিতে করোনার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন