বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকে বাংলাদেশের বড় মাথাব্যথার নাম ছিল আফগানিস্তান। প্রথম ম্যাচে সেই আফগানদের হারিয়ে বিশ্বকাপে দারুণ সূচনা করেছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের ১৫৭ রানের লক্ষ্য বাংলাদেশ তাড়া করেছে ৬ উইকেট ও ৯২ বল হাতে রেখে। বাংলাদেশের শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না।দলীয় ২৭ রানের মধ্যে দুই ওপেনার ফিরে যান। প্রথমে ১৯ রানে তানজিদ হাসান তামিম রান আউট হয়ে ফেরেন। বিশ্বকাপের অভিষেক ইনিংস ৫ রানে থেমেছে তানজিদের। ফজলহক ফারুকির বলটা কাভারে ঠেলে রান নেওয়ার জন্য একটু ঝুঁকেছিলেন লিটন দাস।তাতেই তানজিদ দৌড়ে উইকেটের প্রায় মাঝে চলে আসেন। ফল যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। নাজিবউল্লাহ জাদরানের সরাসরি থ্রোতে রান আউট হয়েছেন এই বাঁহাতি ওপেনার। তানজিদের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি লিটন।ফারুকির অফ স্টাম্পের বাইরের বলটা ক্রিজ থেকে অনেকটা বেরিয়ে এসে আয়েশি ভঙ্গিতে খেলতে চেয়েছিলেন লিটন। কিন্তু বল ইনসাইড-এজ হয়ে আঘাত হানে স্টাম্পে। শেষ হয় ১৮ বলে তার ১৩ রানের ইনিংস। তবে হাত থেকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছুটতে দেননি মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। তৃতীয় উইকেট জুটিতে দুজন যোগ করেছেন ৯৭ রান।ব্যাটে রানের ফল্গুধারা ধরে রেখেছেন মিরাজ। প্রথমবার তিনে নেমে তুলে নিয়েছেন বিশ্বকাপের প্রথম ফিফটি। নাভিন উল হকের বলে রহমত শাহর দুর্দান্ত ক্যাচের শিকার হয়ে আউট হওয়ার আগে মিরাজ করেছেন ৫৭ রান। তার ৭৩ বলের ইনিংসে পাঁচটি চারের মার রয়েছে। কম যাননি প্রথমবার ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ খেলতে নামা নাজমুল। তার ব্যাট থেকে এসেছে অপরাজিত ৫৯ রান। বিশ্বকাপে এটাই তাঁর প্রথম ফিফটি। প্রথম ম্যাচেই মাইলফলকের দেখা পেয়েছেন নাজমুল।বাংলাদেশের জয়ের রাস্তা তৈরি করে রেখেছিলেন মূলত বোলাররা। সাকিব ও মিরাজের ঘূর্ণির কোনো জবাব ছিল না আফগান ব্যাটারদের কাছে। ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন দুজন। তবে দারুণ শুরু করা আফগানদের টপ অর্ডারে ভাঙন ধরিয়েছিলেন সাকিব। ৪৭ রানের ওপেনিং জুটির পর ৩৬ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটিও ভেঙেছেন তিনি। এরপর ধীরে ধীরে দৃশ্যপটে এসেছেন মুস্তাফিজুর রহমান, শরীফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদরা। একমাত্র মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ ছাড়া বাংলাদেশের সব বোলারই উইকেট পেয়েছেন।
এক পর্যায়ে ২ উইকেটে ১১২ রান তুলে ফেলেছিল আফগানিস্তান। কিন্তু বাংলাদেশের বোলারদের দাপটে ৪৪ রানের মধ্যে ৮ উইকেট হারিয়েছে তারা। সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেছেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ।