![দিনাজপুরে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া জিনের বাদশা গ্রেপ্তার](https://trustnews24.com/wp-content/uploads/2023/03/prothomalo-bangla_2023-03_5f7ec506-6403-4676-9026-ae834ff94964_Dinajpur_DH1600_20230312_BirampurGhoraghatRAB_5ArrestPicture_12032023_1.png)
দিনাজপুরে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া জিনের বাদশা গ্রেপ্তার
গোপন রোগ ভালো করে দেওয়া, শরীর থেকে জিন তাড়ানো, বাড়ির মাটির নিচে কলসি ভর্তি জিনের ধনসম্পদ উদ্ধার করে দেওয়ার কথা বলে দিয়ে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন জিনের বাদশা ইমরান হোসেন ওরফে ইমন (২৮)। এরই মধ্যে ভুক্তভোগী সাজ্জাদুল ইসলামের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা হাতিয়েও নিয়েছেন ইমরান।
ইমরান হোসেন আরও ২ লাখ টাকা দাবি করলে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে ভুক্তভোগী সাজ্জাদুল এ বিষয়ে র্যাব-৫ এর কাছে অভিযোগ করেন । গতকাল শনিবার বেলা ৩টার দিকে ঘোড়াঘাট উপজেলার সিংড়া ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম বাজার থেকে কথিত জিনের বাদশা ইমরান হোসেনকে আটক করে র্যাব। পরে এ ঘটনায় শনিবার রাতে ভুক্তভোগী সাজ্জাদুল ঘোড়াঘাট থাকায় ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন। সেই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার ইমরান হোসেনের বাড়ি সিংড়া ইউনিয়নের হায়দারনগর হাটপাড়া গ্রামে। প্রতারিত সাজ্জাদুল ইসলাম জয়পুরহাট সদর উপজেলার পূর্ব দেবীপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন কৃষক।
জানা গিয়েছে, ভুক্তভোগী সাজ্জাদুল ইসলাম ও আবদুল হালিম (২৫) দুই বন্ধু। আবদুল হালিমের পূর্ব পরিচিত হোমিও চিকিৎসক ও কথিত জিনের বাদশা ইমরান হোসেন। আবদুল হালিমের মাধ্যমে গোপন রোগের চিকিৎসার জন্য গত বছরের জুন মাসে ইমরানের কাছে যান সাজ্জাদুল। ইমরান তাঁকে কবিরাজি চিকিৎসা দেন। ৫ মাস পরেও রোগের উন্নতি না হওয়ায় আবারও তাঁর কাছে যান সাজ্জাদুল। সাজ্জাদুলের শরীরে জিনের আঁচড় আছে বলে জানিয়ে দেন ইমরান। শরীর থেকে জিনের আঁচড় ছাড়িয়ে বাড়ির মাটির নিচে কলসি ভর্তি জিনের ধনসম্পদ উদ্ধার করে দেওয়ার কথা বলে ৩ লাখ টাকা নিয়েছেন ইমরান। আরও ২ লাখ টাকা দাবি করে আসছিলেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাঁধে। শেষ পর্যন্ত প্রতারণার মামলায় ইমরান গ্রেপ্তার হলেন।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসান কবির বলেন, আসামি ইমরান হোসেনকে শনিবার রাতে ঘোড়াঘাট থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব। আজ রোববার দুপুরে তাঁকে দিনাজপুর আদালতে পাঠানো হবে।