দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় ধানের বাজার উর্দ্ধমুখি ও বাজারে ধানের আমদানি কম এবং চালের দরের সমন্বয়হীনতার কারণে প্রায় শতাধিক হাস্কিং মিল বন্ধ হয়ে গেছে। চাল কল মালিকরা ব্যবসায় টিকতে না পেড়ে চাতাল গুলো প্রায় ধীরেধীরে বন্ধ করায় এর সাথে জড়িত প্রায় ২ হাজারে মত নারী ও পুরুষ শ্রমিক মানবেতর জীবন যাপন করছে।
অভাবের তারনায় এই পেশা ছেড়ে বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরা ও বাসা বাড়ী ও রিক্সা ভ্যান চালানো সহ কম মুজুরীর কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। কাহারোল উপজেলায় প্রায় ১৩৭টি ছোট-বড় ও মাঝারী হাস্কিং মিল চাতাল রয়েছে। এর মধ্যে খাদ্য বিভাগের তালিকাভূক্ত আছে ১৩২টি। এসব চাল কল ব্যবসায়ীরা স্থানীয়ভাবে ধান সংগ্রহসহ বিভিন্ন এলাকা হতে ধান আমদানি করে সিদ্ধ শুখান শেষে মিলে ভেঙ্গে চাল তৈরী করে দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় ট্রাক যোগে প্রেরণ করেন। ইরি-বোরো মৌসুমে ধান কাটা মাড়ায়ের সময় আবহাওয়া ভাল থাকায় এবং সরকার ঘোষিত ধান এবং চালের মূল্য নির্ধারন করে দেওয়ার ফলে ধানের দাম চড়া ছিল। কৃষক একটু দাম পাওয়ার আশায় ধান গুদাম জাত করে রাখে। এই সময় ইরি-বোরো ধানের দাম পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি পাওয়ায় খাদ্য গুদামেও ধান কিনতে পারে নি কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে ধানে মূল্য চড়া এবং বাজারে আমদানি কম থাকায় চালের বিক্রয় মূল্যের সাথে হিসাব মেলাতে গিয়ে লোকশানের কারণে মিল মালিকরা ব্যবসায় টিকতে না পেড়ে হাস্কিং মিলের চাতাল গুলো পর্যায়ক্রমে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
কাহারোল উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা আব্দুল আহাদ জানান, বর্তমানে বাজারে ধানের আমদানি কম থাকায় মিলাররা চাহিদা মতো ধান ক্রয় করতে পারছে না। তাই বাধ্য হয়ে মিলাররা ধীরেধীরে চাতাল গুলো বন্ধ করে দিচ্ছে।