লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় দিলরুবা আক্তার টুম্পা (২৫) নামে এক গৃহবধূর পায়ের রগ কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী, দেবর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে। পুলিশ ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। গত ২৭ মার্চ রাতে হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউপির পশ্চিম বেজ গ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত গৃহবধূ দিলরুবা আক্তার টুম্পা একই উপজেলার সিংগীমারী ইউনিয়নের দক্ষিণ গড্ডিমারী গ্রামের মৃত মোফাজ উদ্দিনের মেয়ে। স্বামী অছিউর রহমান প্রাণ (২৭) পশ্চিম বেজ গ্রামের মোখলেছার রহমানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, ৫ বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করেন অছিউর রহমান ও টুম্পা। তবে বিয়েতে কিছু না পাওয়ায় গৃহবধূ টুম্পাকে বাবার বাড়িতে থেকে টাকা আনতে চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন শাশুড়ি মালতি। টাকা আনতে না পারায় টুম্পার ওপর নির্যাতন শুরু করেন স্বামী-শাশুড়ি। এ নিয়ে কয়েকবার সালিশ করা হলেও বন্ধ হয়নি নির্যাতন।
ওই গৃহবধূর অভিযোগ, গত ২৭ মার্চ রাতে ২ লাখ টাকার জন্য তাকে তার স্বামী অছিউর রহমান প্রাণ মারধর করেন। এতে যোগ দেয় দেবর মুরাদ হোসেন মন ও শাশুড়ি মা মালতি লতা। এ সময় শাশুড়ি ও দেবরের সহযোগিতায় স্বামী প্রাণ ধারালো ছুড়ি দিয়ে টুম্পার পায়ের রগ কেটে দেয়। পরে টুম্পার পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে থানা পুলিশের সহযোগিতায় টুম্পাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে টুম্পার স্বামী অছিউর রহমান প্রাণ বলেন, স্বামী-স্ত্রী দুজনের মধ্যে হাতাহাতির এক সময় ভাঙা গ্লাস দিয়ে তার স্ত্রীর পায়ের রগ কেটে যায়।
হাতীবান্ধা থানার উপপরিদর্শক ইব্রাহিম বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই গৃহবধূকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করাই। হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলম বলেন, অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্টনিউজ২৪