
২০২২-এ নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৩৪৯৫ নারী ও কন্যাশিশু
২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মোট ৩ হাজার ৪৯৫ জন নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ । এর মধ্যে ১ হাজার ৮৭৬ জন নারী এবং ১ হাজার ৬১৯ জন কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
এছাড়া ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৩১৫ জন নারী ও ৬৭২ জন কন্যা । তার মধ্যে ১২১ জন কন্যাসহ ২২৬ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২৩ জন কন্যাসহ ৩৮ জনকে। ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছে ৮ জন । এছাড়াও ৯৪ জন কন্যাসহ ১৪০ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, উক্ত সময় যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে ১৬৩ জন। এর মধ্যে ১২২ জন কন্যা। উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে ১২৫ জন। এর মধ্যে ১০৪ জন কন্যা। তার মধ্যে উত্ত্যক্তকরণের কারণে আত্মহত্যা করেছে ৬ জন কন্যা ও ১ জন নারী। এ সময় ১০৮ জন নারী ও কন্যা পাচারের ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ২৮ জন কন্যা। এ সময় অ্যাসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন ২২ জন, এর মধ্যে ৩ জন কন্যা। অগ্নিদগ্ধের ঘটনার শিকার হয়েছে ২৫ জন। যার মধ্যে ১২ জনের অগ্নিদগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে ৩ জন কন্যা
২০২২-এ যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৬৫ জন, এরমধ্যে ৬৫ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে এবং তার মধ্যে তিন জন কন্যা। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে মোট ২১৯ জন। এর মধ্যে ৫১ জন কন্যা। পারিবারিক সহিংসতায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২১ জন, তার মধ্যে পাঁচ জন কন্যা। একই সময় মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে এক জন। যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে এক জন। এ সময় ১৩ জন গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হন। পাঁচ জন গৃহকর্মীকে হত্যা করা হয় এবং দুই জন আত্মহত্যা করেন। এ সময় বিভিন্ন কারণে ৯২ জন কন্যাসহ ৫০৭ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন কারণে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে ৫২ জনকে। এর মধ্যে ১২ জন কন্যা। একই সময় ৬৯ জন কন্যাসহ ৩১০ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ৮২ জন কন্যাসহ ২৩৯ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে প্ররোচনার শিকার হয়ে ১৬ জন কন্যা ও ৩৭ জন নারী আত্মহত্যা করে। এছাড়াও আত্মহত্যার চেষ্টা করে এক জন কন্যাসহ পাঁচ জন নারী। এ সময় পিতৃত্বের দাবির ঘটনা ঘটেছে একটি।