করোনার শুরু থেকেই অভাবগ্রস্তদের জরুরি খাদ্য সহযোগিতা দিয়ে আসছে পর্তুগাল ফুড ব্যাংক। স্থানীয়দের পাশাপাশি অসহায় প্রবাসীদের কাছে সে সহযোগিতা পৌঁছে দিতে কাজ করছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘বন্ধু ইমার্জেন্সি ফুড অ্যাসিস্ট্যান্স’। এমন কার্যক্রমের অংশ হতে পেরে খুশি বাংলাদেশি স্বেচ্ছাসেবকরা। শীতের তীব্রতায় তখনো ব্যস্ততা শুরু হয়নি লিসবনের গলিপথগুলোতে। এমন সময়েও একদল উদ্যমী স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন করোনায় কর্মহীন হওয়া এবং পূর্ণ সরকারি সহায়তার আওতায় না আসা বেশকিছু পরিবারের পুরো সপ্তাহের জরুরি খাদ্য সহযোগিতার কাজে।
পর্তুগাল সরকারের স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বাংকো আলিমেনতার বা ফুড ব্যাংকের সহযোগিতায় গত এপ্রিল থেকে এ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সংগঠন ‘বন্ধু ইমার্জেন্সি ফুড অ্যাসিস্ট্যান্স’। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত পর্তুগিজ ছাড়াও এখান থেকে খাদ্য সহযোগিতা নিচ্ছেন বেশকিছু প্রবাসী বাংলাদেশি, ভারতীয়সহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক। এমন কার্যক্রমে যুক্ত থাকতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেন বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা।
এক বাংলাদেশি উদ্যোক্তা বলেন, আমাদের এখানে বিভিন্ন দেশের লোক আসে। আমি খুবি খুশি, এ রকম একটা সংগঠনের সঙ্গে কাজ করতে পেরে। সামনের দিনগুলোতে যে কোনো দুর্যোগে এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা উদ্যোক্তারা।
বন্ধু ইমার্জেন্সি ফুড অ্যাসিস্ট্যান্সের তত্ত্বাবধায়ক পেদ্রো ফ্রেইরে বলেন, ‘আমরা গত ৮-৯ মাস ধরে কাজ করছি। মূলত করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্য সহায়তা দেওয়াটা মানবিক দায়িত্ব হিসেবে এই উদ্যোগ নেওয়া।’এ কার্যক্রমের আওতায় এপ্রিল থেকে নিবন্ধন করেছেন ৮ শতাধিক সদস্য। সেই থেকে প্রতি সপ্তাহে সহযোগিতা নিয়ে আসছে শতাধিক পরিবার।
আমাদের ফেইসবুক Link: ট্রাস্টনিউজ২৪