যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশে ইরানে গোপন হামলা চালিয়ে আল-কায়েদার জ্যেষ্ঠ নেতা আবদুল্লাহ আহমেদ আবদুল্লাহ ওরফে আবু আহমেদ আল-মাসরিকে হত্যা করেছে ইসরাইলের বাহিনী। আল কায়েদার এই ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ ১৯৯৮ সালে আফ্রিকার দুটি মার্কিন দূতাবাসে বোমা হামলার পরিকল্পনার কাজের মাস্টার মাইন্ড ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। শনিবার (১৪ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলি জানায়, তিন মাস আগে তেহরানে মোটরসাইকেলে করে দুই ব্যক্তি আল-মাসরিকে গুলি করেন। আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরির উত্তরসূরিকে হত্যার এ ঘটনা এতদিন গোপন রাখা হয়।
৭ আগস্ট মিসরে জন্ম নেওয়া এ জঙ্গি নেতা হত্যাকাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা পরিষ্কার নয়। মার্কিন কর্তৃপক্ষ ইরানে থাকা মাসরিসহ অন্য আল-কায়েদা জঙ্গিদের দীর্ঘদিন ধরে অনুসরণ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা আল-কায়েদার এই শীর্ষ নেতাকে হত্যায় ইসরাইলের কোন বাহিনী ইরানের মাটিতে গোপন মিশন চালায় তা স্পষ্ট করেনি ওয়াশিংটন। আল-মাসরিকে হত্যায় হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা পরিষদও এ নিয়ে মন্তব্য করেনি।
তবে মোটর সাইকেলে করে এর আগেও ইরানের পরমাণু বিশেষজ্ঞসহ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থাকা ব্যক্তিদের হত্যার অভিযান পরিচালনা করে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা- মোসাদ। তাদের ভয়ঙ্কর অভিযানে ফিলিস্তিনসহ ইরানের অনেকে বিজ্ঞানী প্রাণ হারিয়েছেন। মাসরি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন অর্থাৎ এফবিআই-এর মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকার আসামি ছিলেন। কেনিয়া ও তানজানিয়ায় মার্কিন দূতাবাসে বোমা হামলায় ২২৪ জন মারা যান। হামলায় তাকে মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।