ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ইউপি নির্বাচনের বিরোধকে কেন্দ্র করে তালশহর ইউনিয়ন ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক জনি মিয়াকে (৩৫) পায়ের রগ কেটে ও কুপিয়ে হত্যা কর্ হয়েছে। সোমবার রাতে উপজেলার তালশহর পশ্চিম ইউনিয়নের তালশহর বাজারে প্রকাশ্যে এই নৃশংস হত্যার ঘটনা ঘটে।
নিহত জনি মিয়া ওই এলাকার মোঃ নিয়াজ মকসেন মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন বেকারী ব্যবসায়ী ছিলেন। পরিবারের দাবি, নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক তালশহর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু শামার নির্দেশে তার দুই ছেলে দলবল নিয়ে জনিকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। এসময় আউয়াল মিয়া (৪৭) গুরুতর আহত হন।
নিহতের বাবা নিয়াজ মকসেন মিয়া বলেন, গত ইউপি নির্বাচনে নৌকার পক্ষে আমার ছেলে নির্বাচন করেছে। এই নির্বাচনই তার কাল হলো। নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবু শামার দুই ছেলে ও তার লোকজন আমার ছেলের পায়ের রগ কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে।
এদিকে তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে বিপুল সংখ্যক শোকার্ত গ্রামবাসীসহ নেতাকর্মীদের ঢল নামে। দুপুরের পর তারা হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে মাথায় কাফনের কাপড় পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। এসময় তারা হত্যাকারীদের গ্রেফতার, বিচার ও ফাঁসির দাবি জানায়।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু সামা ও তার ছেলে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আমির হোসেন এর মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন করেও তাদের ফোনের বন্ধ পাওয়া যায়।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাহিদ আহমেদ বলেন, নিহতের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। অভিযোগ স্বাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।