সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে আর্জেন্টিনা। কিন্তু লিওনেল মেসি খুশি নন। রেফারি নিয়ে তার ক্ষোভ মিটছে না। স্পেনের রেফারি মাতেউ লাহোজ দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে ১৫টি কার্ড দেখিয়েছেন। এর মধ্যে আটটি হলুদ কার্ড দেখেছেন আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা। নেদারল্যান্ডসের ফুটবলাররা দেখেছেন ছ’টি হলুদ কার্ড এবং একটি লাল কার্ড। এছাড়া পুরো ম্যাচে ৪৮ বার বাজানো হয়েছে ফাউলের বাঁশি।
খেলার যখন এমন অবস্থা তখনই অবান্তর এক ফাউলের কল করে বসেন রেফারি অ্যান্তোনিও মাতু লাহোজকে।
নির্ধারিত সময়ের একেবারে শেষ মুহূর্তে ডি বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি কিক পায় নেদারল্যান্ডস। দারুণ বুদ্ধিদীপ্ত ফ্রি কিক থেকে গোল করে ডাচদের ঐতিহাসিকভাবে ম্যাচে ২-২ গোলে সমতায় ফেরান উইঘোর্স্ট।
৯০ মিনিটের খেলা ড্র হওয়ায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। অতিরিক্ত সময়ে কোনো দলই গোল দিতে পারেনি। তখন খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে নেদারল্যান্ডসকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে বিদায় করে মেসিরা।
শুক্রবার কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে নেদারল্যান্ডস-আর্জেন্টিনা কোয়ার্টার ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রেফারির দায়িত্ব পালন করেন স্প্যানিশ রেফারি অ্যান্তোনিও মাতু লাহোজকে। পুরো ম্যাচে ৪৮ বার ফাউলের বাঁশি বাজানো হয়েছে । এতে করে দুই দলের খেলোয়াড়রাই বিরক্ত হয়েছেন।
ম্যাচের মধ্যেই হলুদ কার্ড দেখতে হয়েছে আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি ও কোচিং স্টাফ ওয়াল্টার সামুয়েলকে। হলুদ কার্ড দেখা থেকে বাদ যাননি আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসিও।
খেলা শেষে বাজে রেফারিং নিয়ে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি কিছু বলতে চাই না; বললে শাস্তি পেতে হবে। মানুষ দেখেছে কী হয়েছে, কিন্তু আমার মনে হয়, এমন রেফারিকে এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দায়িত্ব দেয়া ফিফার উচিত নয়। যে নিজের কাজটা ভালোভাবে জানে না, এত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাকে কেনো দায়িত্ব দেওয়া হলো।
মেসি আরও বলেন, আমরা খুব একটা ভালো খেলতে পারিনি। এর মধ্যে রেফারির কারণেই খেলা অতিরিক্ত সময়ে গড়িয়েছে। তিনি সব সময় আমাদের বিপক্ষে ছিলেন। এমনকি যে গোলটি দিয়ে সমতায় ফিরেছে ওরা, সেটাও ফাউল ছিল না।
আমাদের ফেইসবুক লিংক : ট্রাস্ট নিউজ ২৪