আজ বৃহস্পতিবার দিনাজপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মাত্র দশমিক .৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমে গেলেই মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়ে যাবে।
এদিকে, তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় দুর্ভোগ বাড়ছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষের। আয়-উপার্জনে পড়ছে ভাটা। শীতের কারণে ঠিকভাবে কাজে যেতে পারছেন না একটু বয়স্ক মানুষরা।
দিনাজপুর সদর উপজেলার বোলতৈড় এলাকার কৃষক সেলিম রেজা বলেন, ‘এই শীত আমাদের কৃষির জন্য খুব এটা সুখবর না। কারণ এই এলাকাটাতে আলু ও টমেটোর আবাদ হয়। এই ফসলগুলোতে কুয়াশার প্রভাব পড়লে লেটবাইটসহ নানান রোগের আক্রমণ হয়।শীতের কারণে আবার এই সময়টাতে কৃষিশ্রমিকও পাওয়া যায় না। বোরো বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হচ্ছে।’
সদর উপজেলার ভবাইনগর কাটাপাড়া এলাকার কৃষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এই শীতে ঠিকভাবে কাজ করা যায় না। ফসল উৎপাদনেও বেশ ঝুঁকি পোহাতে হয়। বোরো বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।’
উলিপুর এলাকার কৃষক সায়েদ আলী বলেন, ‘এই এলাকায় আলুর ব্যাপক আবাদ হয়ে থাকে। শীতের কারণে আলু নিয়ে চিন্তায় আছি। তবে গত দুই দিন ধরে সকাল সকাল রোদ উঠছে। তাই কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে।’
বোচাগঞ্জ উপজেলার রাসেল ইসলাম বলেন, ‘শীতে শিশু ও বয়স্ক মানুষের বড় কষ্টের মধ্যে পড়েছেন। তারা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আমার বাবাও শীতের কারণে শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ঠাণ্ডার কারণে জন্য বাড়ি থেকে বের হতে পারি না।’
আমাদের ফেইসবুক লিংক : ট্রাস্ট নিউজ ২৪