ক্রিকেটে বাজির নেশায় নিজের মা ও বোনকে মেরে ফেললেন এক প্রকৌশল শিক্ষার্থী। ভারতের হায়দরাবাদের এই ২৩ বছর বয়সী তরুণ ব্যাংকে রাখা মায়ের সব টাকা বাজি ধরেন। নিজের পরিকল্পনামাফিক মৃত্যু নিশ্চিত করে নিয়ে যান হাসপাতালে।
স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে মুম্বাই মিরর জানিয়েছে, সৈনত মা ও বোনের খাবারে কীটনাশক মিশিয়ে দেন। ২৩ বছর বয়সী এই শিক্ষার্থী পড়তেন এমটেক নিয়ে। দ্বিতীয় বর্ষে পড়তেন তিনি। বাবা প্রভাকর রেড্ডি মারা গেছেন তিন বছর আগে। মা সুনিতা (৪৪) একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। বোন অনুজা (২২) ফার্মাসিতে পড়তেন। প্রভাকরের মৃত্যুর পর জীবনবীমা থেকে পাওয়া ও কিছু সম্পত্তি বিক্রি করে পাওয়া অর্থ ব্যাংকে জমা রেখেছিলেন সুনিতা। মাকে না জানিয়েই ২০ লাখ টাকা তুলে বাজি ধরেন সৈনত। হেরে সব টাকা খোয়ান তিনি। বাজির অঙ্কটা ছিল আরো বড়। সেজন্য বিক্রি করে দেন মায়ের ১৫ ভরি গয়না।
সুনিতা ও অনুজা সবকিছু জানতে পারেন। ছেলেকে সবকিছু ছাড়ার নির্দেশ দেন সুনিতা। পরিবারের সব সম্পত্তি বাজিতে খাটানোর জন্য পরিকল্পনা করেন সৈনত। সেজন্য মা ও বোনের খাবারে মিশিয়ে দেন বিষ। ২৩ নভেম্বর রাতের খাবার নিয়ে খন্ডকালীন চাকরি করা সৈনত অফিসে চলে যান। খাবার খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন মা ও বোন। সেদিনের রাতের খাবারে ছিল বিষ মেশানো।
ফোন অফ করে রাখায় বারবার ফোন করেও ছেলেকে পাননি সুনিতা। সকাল ৯টায় ফোন ওপেন করে মায়ের মেসেজ দেখেন সৈনত। এরপর বাড়িতে ফোন করলে বোন অনুজা জানান, ‘তারা গুরুতর অসুস্থ’। বাড়িতে ফেরার পরও মা ও বোনকে হাসপাতালে নেননি সৈনত। তারা অজ্ঞান হওয়ার পরই নিয়ে যান হাসপাতালে। ২৭শে নভেম্বর মারা যান অনুজা। তার মা মারা যান পরের দিন। আত্মীয়-স্বজনরা সন্দেহ করেন সৈনতকে। প্রশ্নের মুখে সব স্বীকার করেন। বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন সৈনত।