সবুজ, নীল বা বেগুণি রঙের হালকা আলোর আভা চোখে যেন মিষ্টি আরাম দেয়। সেই আলোর রাস্তা নিয়ে যায় অজানা এক পথে। পৃথিবীতে মাঝে মাঝে দেখা দেয় এরকম সবুজ ও নীলের আভা, যাকে বলা হয় অরোরা বা মেরুজ্যোতি।
অনেকেই এই অরোরাকে চোখে দেখলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন, কেননা সবসময় তা দেখা যায় না। আর বলতে গেলে, অরোরা দেখার সৌভাগ্যটাও অনেকের হয় না। তবে কী এই অরোরা বা কেনই বা হয়, তা অনেকেরই অজানা।
অরোরা উত্তর এবং দক্ষিণ মেরু এলাকায় দেখা যায় এমন একধরনের নাটকীয় আলোক বিচ্ছুরণ। উচ্চ অক্ষাংশ ও দক্ষিণ অক্ষাংশে চার্জিত কনার প্রতিক্রিয়ার কারণে যে আলোকীয় প্রাকৃতিক ঘটনা দেখা যায়, তাকেই অরোরা বলে। উত্তর অক্ষাংশে এটি অরোরা বোরিয়ালিস বা নর্দার্ন লাইটস বা সুমেরুজ্যোতি নামে পরিচিত।
সূর্য থেকে আসা চার্জিত বিভিন্ন কণা পৃথিবীর চুম্বকীয় ক্ষেত্র দ্বারা বিতাড়িত হয়ে পৃথিবীর মেরু এলাকায় গিয়ে জড়ো হয়। এতে করে মেরু এলাকায় উপরের বায়ুমণ্ডলে যে প্রতিক্রিয়া হয়, তারই ফলে ওইসব এলাকায় এই আলোক বিচ্ছুরণ দেখা যায়।
কানাডা, আইসল্যান্ড, গ্রিনল্যান্ড, নরওয়ে এসব দেশে বেশ ভালোমতো অরোরা দেখা যায়। অক্সিজেনের কারণে অরোরার রঙ বেশীরভাগ সময়ে সবুজই হয়। মাঝে মাঝে নীল বা লাল রঙের অরোরা দেখা যায় যেটির কারণ নাইট্রোজেন।
সৃষ্টির ইতিহাসজুড়ে অরোরার রঙগুলো রহস্যময়। এই সৌরমণ্ডলের ভিনগ্রহ মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস ও প্লুটোতেও অরোরার দেখা মেলে। সেই সব ভিনগ্রহ থেকে দেখা অরোরাও হয়ে থাকে ভিন্ন রকম।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্ট নিউজ ২৪