শেরপুরে পরকীয়ার বলি হয়েছেন এক প্রেমিক জুটি। নকলা উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের গোহালেরকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় শনিবার সকালে প্রেমিক এবং শুক্রবার রাতে প্রেমিকার লাশ উদ্ধার করেছে।
তারা হলেন- গোহালেরকান্দা গ্রামের গামেন্ট শ্রমিক সোবাহান আলীর স্ত্রী হামিদা বেগম (২৮) ও মৃত ইয়াদ আলীর ছেলে ভিডিপি সদস্য ছামেদুল ইসলাম হেলাল (৩৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায, নকলা গোহালেরকান্দা গ্রামের সোবাহান আলী গাজীপুরে একটি সোয়েটার কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন। তার স্ত্রী এক সন্তানের জননী হামিদা বেগম সন্তানকে নিয়ে নকলার বাড়িতে থাকতেন। স্বামীর অবর্তমানে একই গ্রামের ভিডিপি সদস্য ছামেদুল ইসলাম হেলালের সাথে বেশ কিছুদিন ধরে তার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ছামেদুল ইসলাম হেলালেরও স্ত্রী-সন্তান থাকায় সম্প্রতি তাদের পরকীয়া প্রেমের বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়। এতে অভিমানে হামিদা বেগম শুক্রবার রাত সাড়ে ৬টার দিকে বাড়ির পাশের একটি জিগার গাছের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। প্রেমিকার আত্মহননের সংবাদ জানার দুই ঘণ্টার মধ্যে নিজ বাড়ির পাশের একটি বেলগাছের সাথে গলায় রশি পেচিয়ে ফাঁস ঝুলিয়ে ভিডিপি সদস্য ছামেদুল ইসলাম হেলাও আত্মহত্যা করেন। সংবাদ পেয়ে নকলা থানা পুলিশ দুজনের লাশ উদ্ধার করে।
পাঠাকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফয়েজ মিল্লাত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গোহালেরকান্দা গ্রামের ছামেদুল ইসলাম জীবন ও হামিদা বেগমের মধ্যে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিলো বলে স্থানীয়ভাবে জানা গেছে। উভয়েরই সন্তানাদি রয়েছে। হামিদার স্বামী গার্মেন্টে কাজ করার সুবাদে তিনি বাড়িতে সন্তানকে নিয়ে থাকতো। ছামিদুল ইসলাম জীবনেরও স্ত্রী-সন্তান আছে। তারপরও তারা সম্পর্কে জড়িয়েছে। তবে কী কারণে তারা আত্মহত্যা করেছে, সেটি ঠিক বলা যাচ্ছে না।
নকলা থানার এসআই সবুজ মিয়া জানান, লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্টনিউজ২৪