দুলাভাইয়ের ধর্ষণে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে পঞ্চম শ্রেণির একজন ছাত্রী। ঘটনাটি টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ।
গতকাল বুধবার (১৭ আগস্ট) মির্জাপুর থানায় মামলার পর অভিযুক্ত ছাত্রীর দুলাভাই সবুজ সিকদারকে (২২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সত্যতা স্বীকার করায় অভিযুক্তকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের ছলিমনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এদিকে, পুলিশ হেফাজতে ছাত্রীর চিকিৎসা চলছে।
জানা গিয়েছে, ২ বছর আগে টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার গরজন গ্রামের শামসুর হকের ছেলে সবুজ সিকদারের সঙ্গে একই উপজেলার ছলিমনগর গ্রামের আব্দুল আজিজ মিয়ার বড় মেয়ে সিমলা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর সবুজ সিকদার মাঝেমধ্যেই শ্বশুর বাড়িতে যাতায়াত করতেন। চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি সবুজ শ্বশুর বাড়িতে আসেন।
১৫ জানুয়ারি তার শ্বশুর মাটি কাটতে যান এবং শাশুড়িসহ তার স্ত্রী সিমলা রিলিফের চাল আনার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে যান। বাড়িতে কেউ না থাকায় এই সুযোগে সবুজ জোরপূর্বক পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী শ্যালিকাকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য ছাত্রীকে হুমকি দেয় সবুজ। এভাবে একাধিবার ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রী।
এর পর ১৪ আগস্ট অসুস্থ হয়ে পড়ে অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রী। ঘটনা জানার পর ছাত্রীর অসহায় বাবা আজিজ মিয়া সবুজকে প্রধান আসামি করে মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার সূত্র ধরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত মঙ্গলবার ঘাটাইল এলাকা থেকে সবুজ সিকদারকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
মির্জাপুর থানার এসআই মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘মামলার পর ধর্ষণের মূলহোতা সবুজ সিকদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে বখাটে সবুজ শ্যালিকাকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। কোর্টের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা চলছে। ভিকটিমের পরিবার যাতে ন্যায় বিচার পায়, সেজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
আমাদের ফেইসবুক লিংক : ট্রাস্ট নিউজ ২৪