আধিপত্য বিস্তারের জন্য কুমিল্লা নগরীতে দুটি পক্ষ প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে। এর মধ্যে একজনের হাতে পিস্তল ছিল। মহড়ার এক পর্যায়ে একটি পক্ষের লোকজনের ওপর হামলা হয়। পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
ঘটনাটিতে ১ মিনিট ৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, অন্তত ৫০ জনের হাতে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র। একজনের হাতে ছিল পিস্তল।
জানা গেছে, অস্ত্রের মহড়া চলাকালে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে থাকা ব্যক্তির নাম আবদুর রাজ্জাক (৪০)। বাড়ি নগরীর চকবাজার গর্জনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায়। তাঁর নেতৃত্ব প্রথমে হামলা চালানো হয়েছে গর্জনখোলা পূর্বপাড়া বিদ্যুত্ অফিস গলি এলাকার বাসিন্দা রবিন আহমেদ ও জালাল উদ্দিনের লোকজনের ওপর। রবিন ওই এলাকার মৃত মাহে আলমের ছেলে। আর জালাল একই এলাকার হোসেন মিয়ার ছেলে। এ ঘটনার পরে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে ধাওয়াধাওয়ি শুরু হয়। প্রায় এক ঘণ্টা চলে এ ঘটনা।
রবিন আহমেদ বলেন, আমরা কোনো হামলা করিনি। তাঁরাই আমাদের ওপর হামলা করেছিলো । আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালানো আবদুর রাজ্জাক পেশাদার মাদক কারবারি। তিনি চেয়েছেন আমরা তাঁর সঙ্গে থেকে মাদকের কারবারে যুক্ত হই।
এ ছাড়া তিনি এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে মরিয়া। তিনি চান এলাকার সবাই তাঁর কথায় চলবে। কিন্তু আমি আর জালাল তাঁর এসব কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করেছি। আর এজন্যই কিছুদিন আগে তিনি আমার ওপর হামলা চালিয়েছেন।
রবিন আহমেদ বলেন, ‘এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে দুপুর ২টার দিকে তিনি (রাজ্জাক) অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসী নিয়ে হামলা চালান। তাঁর হাতে ছিল বিদেশি পিস্তল। এ ছাড়া বাকি সবার হাতে ছিল দেশীয় রামদাসহ বিভিন্ন অস্ত্র। তাঁরা আমিসহ পাঁচজনকে পিটিয়ে আহত করেছেন। একজনকে কুপিয়েছেন। এলাকার বেশ কয়েকটি দোকান কুপিয়ে মালামাল লুটপাট করেছেন। কেউ তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পায় না। তিনি প্রশাসনের লোকজনকে ম্যানেজ করে চলেন। এ জন্য তারাও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না। ’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রবিন ও জালাল—দুজনই স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের কর্মী। আর আবদুর রাজ্জাক বিএনপির কর্মী।
এদিকে আবদুর রাজ্জাক বলেন, আমি মাদক কারবারে জড়িত না। আমি ঠিকাদারি ব্যবসা করি। আর আমি কোনো অস্ত্রের মহড়া দিইনি। এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আর আমার লোকজন কারো ওপর হামলাও করেনি। এক পর্যায়ে এই প্রতিবেদক আগ্নেয়াস্ত্র হাতে মহড়ার ভিডিওর কথা বলতেই তিনি এক মিনিট পরে কল করবেন বলে সংযোগ কেটে দেন। এরপর একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।
কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমাদের ফেইসবুক লিঙ্ক : ট্রাস্ট নিউজ ২৪