মাঝে কিছুটা সোনালী আবার চতুর্দিকে সবুজ ফসলের মাঠ ভরা ক্ষেত। কিন্তু সে ফসলের মাঝেই রোপনের কিছুদিন পরই জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষরা ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য প্রয়োগ করে একবার সবুজ ফসলে ভরা আমন ক্ষেতকে সোনালী (পাকা আবরণ) করে দিয়েছিল এবং আবারো একই পন্থায় ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য প্রয়োগ করে একই ক্ষেতে দ্বিতীবার রোপনকৃত সবুজ ফসলে ভরা ক্ষেতকে সোনালী (পাকা আবরণ) করে দিয়েছে।
বিরলের ধর্মপুর ইউপি’র বনগাঁও গ্রামে বীরমুক্তিযোদ্ধা হাসান আলীর প্রায় দুই বিঘা জমিতে রোপনকৃত আমন ধান ক্ষেত রাসায়নিক দ্রব্য প্রয়োগে নষ্ট করে অর্ধলক্ষাধিক টাকার পূণরায় ক্ষয়ক্ষতি করেছে প্রতিপক্ষরা। ঘটনায় পূণরায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। অভিযোগে জানায়, উপজেলার ধর্মপুর ইউপি’র বনগাঁও (গাডাংপাড়া) গ্রামের মৃত হাজী জসিম উদ্দীনের পুত্র বীরমুক্তিযোদ্ধা হাসান আলী দলিল ও আদালত কর্তৃক দখলমূলে বনগাঁও মৌজার ১১৭ নং খতিয়ানভূক্ত ২১৭৬ ও ২১৭৮ নং দাগে ৮৩ শতক জমি ভোগ দখল করছেন। এবার চলতি আমন মৌসুমে সে জমিতে প্রতিবেশিদের ন্যায় তিনিও আমন ধান রোপন করেছেন।
ওই জমিতে রোপনকৃত আমন ধান ক্রমেই প্রতিবেশিদের ফসলের সাথে বেড়ে উঠছিল। সবুজ এর সমারোহে আপন মহিমায় ভবিষ্যতে ফসল ঘরে তোলার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধার পরিবারটি। কিন্তু বাঁধ সাধে প্রতিপক্ষদের। একই ইউপি’র প্রতিপক্ষ আগে ৭ আগস্ট শুক্রবার রাত্রী আনুমানিক ১১ টা হতে ৮ আগস্ট শনিবার সকাল ৭ টার মধ্যে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ (তরল ঘাস মারার বিষ) প্রয়োগে ধান ক্ষেতটি নষ্ট করে আনুমানিক ৫৫ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করেছে।
পরবর্তীতে এবার ৪ অক্টোবর থেকে ৫ অক্টোবর রাতে একই পন্থায় ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ (তরল ঘাস মারার বিষ) প্রয়োগে ধান ক্ষেতটি নষ্ট করে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করেছে। বিরল থানা ও জগতপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে বীরমুক্তিযোদ্ধা হাসান আলী বিষয়টি পূণরায় অবগত করেছে। এ ব্যাপারে বীরমুক্তিযোদ্ধা হাসান আলী দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।