চিত্রনায়িকা পরীমনির দফায় দফায় রিমান্ডের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দুই বিচারক হাইকোর্টে ক্ষমা চেয়েছেন। তারা হলেন- ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম।
হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবীর দ্বারা এ ক্ষমা চাওয়ার আবেদন করেন তারা ।
এর আগে, গত ২৪ অক্টোবর ঢাকাই সিনেমার নায়িকা পরীমনিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডে পাঠানোর ঘটনায় দুই বিচারক দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলামকে পুনরায় লিখিত ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
২৯ আগস্ট সুপ্রিমকোর্টের রায় না মেনে পরীমনিকে বারবার রিমান্ডে নেওয়ার বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টের স্বপ্রণোদিত আদেশ প্রার্থনা করে একটি আবেদন করেন মানবাধিকার সংগঠন আইন ও শালিস কেন্দ্রের (আসক) পক্ষে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী
গত ১৪ সেপ্টেম্বর পরীমনিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডে পাঠানো নিম্ন আদালতের দুই বিচারকের দাখিল করা ব্যাখ্যায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেন, লিখিত ব্যাখ্যায় তারা হাইকোর্টকে শিক্ষা দিয়েছেন। আমরা এ ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নই। বিচারকদের ব্যাখ্যায় হাইকোর্টকে আন্ডারমাইন (হেয়) করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন বিচারক।
ওই দিন পরীমনিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডে পাঠানো দুই বিচারক দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম আদালতের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ।
গত ৪ আগস্ট বিকালে পরীমনিকে ৮টার দিকে বনানীর বাসা থেকে আটক করা হয়।
পরে ১৩ আগস্ট তার জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল, পরে ওই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে পরীমনিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্ট নিউজ ২৪