অনেকের মতে রেকর্ড, মাইলফলক, ম্যান অব দ্য ম্যাচ আর সাকিব আল হাসান যেন মূদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের তকমা তার গায়ে লেগে আছে কয়েক বছর ধরেই।
প্রায় বেশিরভাগ ম্যাচেই তার অবদান থাকে। ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হলে বোলিংয়ে তা পুষিয়ে দেন। কখনো বা উল্টোটাও ঘটে। আবার অনেক ম্যাচে দুই ডিপার্টমেন্টেই দারুণ কীর্তি দেখিয়ে দলের জয়ের নায়ক হয়ে উঠেন। এমন সব কীর্তি দেখাতে দেখাতে দারুণ দুটি মাইলফলকের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে সাকিব। এর একটি হলো- আর মাত্র একটি উইকেট পেলেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারের বিশ্ব রেকর্ড গড়বেন সাকিব। ছুঁয়ে ফেলবেন শ্রীলংকার পেসার লাসিথ মালিঙ্গাকে। ৮৪ ম্যাচ খেলে ১০৭ উইকেট নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে শীর্ষ উইকেটধারী মালিঙ্গা। আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে দুই উইকেট নিয়ে সাকিবের শিকার এখন ৮৬ ম্যাচে ১০৬টি। অবশ্য মালিঙ্গাকে পেছনে ফেলে আরো অনেক দূর যাওয়া সক্ষমতা রয়েছে সাকিবের। কারণ লঙ্কান পেসারের ক্যারিয়ার শেষ করেছেন ১০৭ উইকেটে। আর সাকিবের ক্যারিয়ারের আরো অনেকটা সময় পড়ে আছে। দুটি উইকেট নিয়ে আজই মালিঙ্গাকে ছাড়িয়ে যেতে পারেন সাকিব। আর দুটি উইকেট নিলে মালিঙ্গাকে ছাড়িয়ে রেকর্ডটি শুধুই নিজের করে নেবেন সাকিব। তবে দুটি উইকেট নিলে সাকিব একটি মাইলফলক স্পর্শ করবেন। সাকিব হয়ে যাবেন আন্তর্জাতিকের তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৬০০ উইকেট শিকারি, ২৩তম বোলার আর দ্বিতীয় বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে। উইকেট শিকারের দিক থেকে সাকিব অনেক আগেই টপকে গেছেন নিউজিল্যান্ডের তারকা পেসার টিম সাউদিকে।
টি-টোয়েন্টিতে ৯৯ উইকেট নিয়ে তৃতীয় পজিশনে আছেন সাউদি। ৯৮ উইকেট শিকার করে চতুর্থ পজিশনে থেকে অবসরে গেছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি। আফগানিস্তানের তারকা লেগ স্পিনার রশিদ খান মাত্র ৫১ ম্যাচে ৯৫ উইকেট শিকার করে পঞ্চম পজিশনে রয়েছেন। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে এ তালিকায় সাকিবের পরেই আছেন মোস্তাফিজুর রহমান। কাটার মাস্টার খ্যাত এই পেসার ইতোমধ্যে ৪৯ ম্যাচে ৭১ উইকেট শিকার করেছেন।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্ট নিউজ ২৪