১৫-১৯ মার্চের মধ্যে বাংলাদেশে শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ । এছাড়া আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় কালবৈশাখী আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে।
কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তা গণেশ কুমার দাশ বলেন, উত্তর প্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্র পর্যন্ত একটি গভীর অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে। তাই বিহার, ছত্তিশগড়ের দিকে আবহাওয়াসংক্রান্ত কিছু গতিবিধি ধরা পড়ছে, যা ধীরে ধীরে পশ্চিমবঙ্গের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
শনিবার পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের কয়েকটি জায়গায় বজ্রবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদের কয়েক জায়গায় ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, শনিবার কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলোয় বৃষ্টির সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ যে অক্ষরেখা রয়েছে, তা এত নিচে নামবে না। সেটি পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূমের পর বাংলাদেশের দিকে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ শুক্রবার তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলো থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে ১৫ মার্চ থেকে ১৯ মার্চের সম্ভাব্য কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও তীব্র বজ্রপাত সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন।
তিনি বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি থাকবে রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট ও রংপুর বিভাগের জেলাগুলোর ওপর। সবচেয়ে বেশি বজ্রপাতের ঝুঁকি রয়েছে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের সব জেলায়, ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ, চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়।
ওই সময়ে ঢাকা শহরের ওপর দিয়েও কালবৈশাখী ঝড় অতিবাহিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জেলায় ৩০ থেকে ৭০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, যেহেতু সম্ভাব্য কালবৈশাখী ঝড়টি এই মৌসুমের প্রথম ঝড় হবে, তাই সম্ভাব্য এই ঝড় থেকে বৃষ্টি অপেক্ষাকৃত কম হবে, তবে প্রচণ্ড রকমের ধূলিঝড় হতে পারে। সবচেয়ে বেশি ঝড় হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ১৭ ও ১৮ মার্চ।