আফগানিস্তানের সামরিক ঘাঁটিতে আত্মঘাতী গাড়িবোমা হামলায় কমপক্ষে ২৬ নিরাপত্তা সদস্য নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় রোববার (২৯ নভেম্বর) পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ গজনিতে শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। আফগানিস্তানের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী তালেবান এবং নিরাপত্তা সদস্যদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংঘাতকবলিত প্রদেশ গজনি। প্রাদেশিক গভর্নরও হামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এদিকে গজনি হাসপাতালের পরিচালক বাজ মোহাম্মদ হেমাত বার্তা সংস্থা এপিকে জানায়, ‘বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ২৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত হন আরও ১৭ জন। হতাহতরা সবাই নিরাপত্তা সদস্য।’
‘হুমভি’ গাড়ি আত্মঘাতী বোমা হামলায় পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত নৃশংস হামলার দায়ভার স্বীকার করেনি কোনও গোষ্ঠী। চলতি বছরে আফগানিস্তানে হামলা ঘটনা অনেক বেড়ে গেছে। এতে প্রাণ হারাচ্ছেন বেসামরিক মানুষ। বেশ কিছু হামলায় দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস।
তালেবানদের উৎখাত করতে ২০০১ সালের ৭ অক্টোবরে আফগানিস্তানে অভিযান চালায় যুক্তরাষ্ট্র। তারা জানায়, তালেবানরা ওসামা বিন লাদেন এবং অন্য আল-কায়েদা নেতাদের লালন করেছে যারা ৯/১১ এর হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল। ২০০১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট তালেবান শাসন উৎখাত করার পর থেকেই সেখানে আছে মার্কিন সেনা।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অনেকদিন থেকেই সেনাদের দেশে ফিরিয়ে আনার কথা বলছেন। দেশে দেশে সামরিক হস্তক্ষেপ খুবই ব্যয়বহুল এবং অকার্যকর বলে সমালোচনা করেছেন তিনি। এরই অংশ হিসেবে চলতি বছরের শুরুর দিকে তালেবানের সঙ্গে শান্তি চুক্তির অংশ হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে। গত ২৯ ফেব্রুয়ারিতে তালেবান জঙ্গি এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ঐতিহাসিক চুক্তির শর্ত ছিল মার্কিন সেনাদের দেশে ফেরানো।
আমাদের ফেইসবুক পেজঃ ট্রাস্টনিউজ২৪