বাপের বাড়ি মানে মেয়ের আপন জায়গা। কিন্তু বিয়ে হয়ে গেলে যে রীতি মেনে শ্বশুরবাড়ি যেতেই হয়। আর বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর শ্বশুরবাড়ির দিকে পা বাড়ালে কনের কান্নায় ভেঙে পড়ার ঘটনাও স্বাভাবিক। কিন্তু ভারতের ওড়িশার সোনপুরের ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক। তীব্র কান্নায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ পর্যন্ত মারাই গেলেন তিনি। মুহূর্তেই বিয়ের আসরের আনন্দ বদলে গেল শ্মশানের নিস্তব্ধতায়।
ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের খবরে জানা গেছে, শুক্রবার (৫ মার্চ) জুলুন্দার বাসিন্দা গুপ্তেশ্বরী সাহু ওরফে রোজি সাহু বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন। স্বামী বিসিকেসন টেটেলগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। সাধ্যমতোই মেয়ের বিয়ের আয়োজন করেছিল পরিবার। পরিকল্পনা মতো বিয়ের কাজও সম্পন্ন হয়। কিন্তু বিপত্তি বাধে বাপের বাড়ি থেকে বিদায় নেওয়ার সময়।
রোজির পরিবার তাকে বিদায় জানানোর জন্য তৈরি ছিলেন। মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি পাঠানোর আগে আচার-রীতি অনুযায়ী সব পালন করাও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আপনজনদের ছেড়ে যাওয়ার কষ্টে কাঁদতে শুরু করেন রোজি। কাঁদতে কাঁদতে হঠাৎই জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুকিয়ে পড়েন তিনি। সবাই তার হাত-পা ঘষে, চোখে-মুখে পানি দিয়ে জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করতে থাকে। কিন্তু কিছুতেই তার জ্ঞান ফিরছে না দেখে চিন্তিত হয়ে পড়েন পরিবার ও আত্মীয় স্বজনরা।
পরে দেরি না করে রোজিকে নিয়ে যাওয়া হয় দুঙ্গুরুপলি কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের পর তার মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
গোটা ঘটনায় শোকস্তব্ধ দুই পরিবারই। সংসার শুরুর আগেই এভাবে সবকিছু শেষ হয়ে যাবে, যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না কেউ। জানা যায়, মাস কয়েক আগেই বাবাকে হারিয়েছেন রোজি। বাবার মৃত্যুর শোকে বেশ চুপচাপই হয়ে গিয়েছিলেন। বিয়ের হতেই তার জীবনেও ইতি পড়ল।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্টনিউজ২৪