উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যেতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মতামত চেয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। পরে আইনমন্ত্রী মতামত দিয়ে আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠান।
এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সমকালকে জানিয়েছেন, প্রস্তাবটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের এখানে এসেছিল। দুপুরে মতামত দিয়ে সেটি আবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি।
কী মতামত দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি এখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবে। সেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। এর আগে এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট এক অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছিলেন, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে হলে কারাগারে গিয়ে নতুন করে আবেদন করতে হবে। আইনীভাবে প্যারোলে মুক্ত থাকা অবস্থায় একই বিষয়ে দ্বিতীয় দফা আবেদন নিস্পত্তির সুযোগ নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেছিলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে আবারও তাকে জেলে যেতে হবে। এরপর নতুন করে তাকে আবেদন করতে হবে। কারণ যে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, তার আলোকে তাকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার সুযোগ নেই। সেই আবেদন নিষ্পত্তি হয়ে গেছে।
গত সপ্তাহে খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার বোনের মুক্তি চেয়ে আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বর্তমানে দেশের বাইরে থাকায় এ বিষয়ে তার মতামত পাওয়া যায়নি। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর তার দেশে ফেরার পর এ বিষয়টি সুরাহা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়াকে বৈশ্বিক করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। এরপর তিন দফায় তার দণ্ড স্থগিত করা হয়।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্ট নিউজ ২৪