নিত্য প্রয়োজনীয় সবজি আলুর দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদফতর। সম্প্রতি জেলা প্রশাসকদের চিঠির মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়। এই চিঠি অনুযায়ী আলুর দাম হিমাগার পর্যায়ে ২৩ টাকা পাইকারি ২৫ টাকা এবং খুচরা ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
উল্লেখিত মূল্যে কোল্ডস্টোরেজ, পাইকারি বিক্রেতা এবং ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা বিক্রেতাসহ তিন পক্ষই যাতে সবজিটি বিক্রয় করেন সেজন্য কঠোর মনিটরিং ও নজরদারির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে সম্প্রতি ডিসিদের কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে। কৃষি বিপণন অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানান, তারা আলুর উৎপাদন খরচ, সংরক্ষণ ব্যয়সহ, মুনাফা হিসাব করেই এই তিন পর্যায়ে দাম নির্ধারণ করেছেন। কর্মকর্তারা জানান, প্রতিকেজি আলুতে হিমাগার ভাড়া বাবদ ৩ টাকা ৬৬ পয়সা, বাছাই খরচ ৪৬ পয়সা, ওয়েট লস ৮৮ পয়সা, মূলধনের সুদ ও অন্যান্য খরচ বাবদ ২ টাকা ব্যয় ধরেছেন তারা।
কৃষি বিপণন অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী, এ মৌসুমে একজন চাষির প্রতি কেজি আলু উৎপাদনে খরচ হয়েছে ৮ টাকা ৩২ পয়সা। উৎপাদন থেকে শুরু করে অন্যান্য খরচ ধরে এক কেজি আলু হিমাগার পর্যন্ত সংরক্ষণে সর্বমোট ব্যয় হয়েছে ২১ টাকা। এক্ষেত্রে হিমাগার পর্যায়ে বিক্রয় মূল্যের ওপর ২-৫ শতাংশ লভ্যাংশ, পাইকারি পর্যায়ে ৪-৫ শতাংশ এবং খুচরা পর্যায়ে ১০-১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ধরে তারা এই তিন পর্যায়ের দাম নির্ধারণ করেছেন। চিঠিতে কৃষি বিপণন অধিদফতর জানায়, বাংলাদেশে গত আলুর মৌসুমে প্রায় ১ দশমিক ৯ কোটি মেট্রিক টন আলু উৎপাদিত হয়েছে। দেশে মোট আলুর চাহিদা প্রায় ৭৭ দশমিক ৯ লাখ মেট্রিক টন। এতে দেখা যায় যে, গত বছর উৎপাদিত মোট আলু হতে প্রায় ৩১ দশমিক ৯১ লাখ মেট্রিক টন আলু উদ্বৃত্ত থাকে। কিছু পরিমাণ আলু রপ্তানি হলেও ঘাটতির আশঙ্কা নেই বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।