
ব্রাজিলে ইথানলের দাম বাড়ায় চিনির দাম কিছুটা বেড়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে। পাশাপাশি ইউরোপে বিট চাষে ক্ষতিকর কীটনাশক ব্যবহার নিষিদ্ধ করারও প্রভাব পড়েছে চিনির দামে। তবে ভারতে আখের বাম্পার ফলন হওয়ায় দাম খুব একটা বাড়বে না বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে সম্প্রতি মৌমাছির জন্য ক্ষতিকর বিশেষ ধরনের কীটনাশক ব্যবহার চূড়ান্তভাবে নিষিদ্ধ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এতে চিনি উৎপাদনে ব্যবহৃত বিট চাষে নিরুৎসাহিত হতে পারেন ইউরোপের কৃষকরা। ফলে কমবে চিনির উৎপাদন।
তবে চিনির বাজারে কিছুটা আশা জাগাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ চিনি রফতানিকারক ভারত। আখের বাম্পার ফলন হওয়ায় চলতি বছর চিনি রফতানি বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যেই অনুমতি দেয়া হয়েছে ৬০ লাখ টন চিনি রফতানির। গত বছর বিশ্ববাজারে দেশটি রেকর্ড এক কোটি দশ লাখ টন চিনি রফতানি করেছে।
ইন্টারন্যাশনাল সুগার অরগানাইজেশন থেকে প্রাপ্ত চিনির দরের আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক হোয়াইট সুগার ইনডেক্স অনুযায়ী চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি প্রতি টন চিনি বিক্রি হয় ৫৫০ দশমিক তিন শূন্য ডলারে। চলতি মাসের শুরুতে যা ছিল ৫৩৭ দশমিক চার শূন্য ডলার। অর্থাৎ ২৩ দিনের ব্যবধানে চিনির দর প্রতি টনে বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১৩ ডলার।
এদিকে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি চিনি আমদানি করে ব্রাজিল ও ভারত থেকে। তবে ব্রাজিল থেকে চিনি আমদানি করে বাজারজাত পর্যন্ত ৪৫-৬০ দিন পর্যন্ত সময় লাগে।