মহামারির সময় দেশে করোনা চিকিৎসার নামে প্রতারণা কেলেঙ্কারির মূলহোতা রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার রায় আজ। দুর্নীতি, অর্থপাচার, মাদক মামলাসহ সারাদেশে সাহেদের বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মামলা থাকলেও এই প্রথম তার বিরুদ্ধে কোন মামলার রায় ঘোষণা হতে যাচ্ছে। রায়ে দোষী প্রমাণিত হলে সাহেদের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
প্রতারক সাহেদ করিম, করোনা চিকিৎসার নামে হাজারো মানুষকে প্রতারিত করে, ভুয়া কোভিড সার্টিফিকেট বিক্রি করে হাতিয়ে নিয়ে কোটি কোটি টাকা। দেশ থেকে পালানোর সময় চলতি বছরের ১৫ জুলাই সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। এরপর কড়া প্রহরায় হেলিকপ্টারে করে রাজধানীতে নিয়ে আসা হয় তাকে। ১৯ জুলাই সাহেদকে সঙ্গে নিয়ে উত্তরার বাসার অভিযান চালালে সেখান থেকে উদ্ধার হয় একটি পিস্তল, গুলি।
গোয়েন্দা পুলিশ অস্ত্র মামলায় ৩০ জুলাই আদালতে সাহেদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। আর ২৭ আগস্ট অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে সাহেদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু করেন আদালত। গত ২০ সেপ্টেম্বর মাত্র ৮ কার্যদিবসে মামলাটি রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ।
আদালতে সাহেদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন ১১ জন সাক্ষী। আর রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে চেয়েছেন সাহেদের বিরুদ্ধে সবোর্চ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। রাষ্ট্রপক্ষের দাবি, সাহেদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন তারা। আর তাই অস্ত্র মামলায় সাহেদের দোষী প্রমাণিত হওয়ার বিষয়টি সময়ের ব্যাপার মাত্র। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আবু বলেন, তার (সাহেদ) সকল অভিযোগ সন্দেহতীতভাবে আমরা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। শুধু অস্ত্র মামলাই নয়, সারাদেশে সাহেদের বিরুদ্ধে অর্ধশতের বেশি মামলা রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে মাদক, অর্থপাচার, দুর্নীতি ও প্রতারণার মতো গুরুতর সব অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলা।