নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় ধর্ষণের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ দেখে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয় শিশু আছমা আক্তারকে (৫)। শুধু তাই নয়, হত্যার পরও শিশুটিকে ধর্ষণ করে এবং পাশের বাড়ির শৌচাগারের ট্যাংকে লাশ লুকিয়ে রাখে ধর্ষক ।
এ ঘটনায় নিহত শিশু আছমা আক্তারের চাচাতো ভাই শাহাদাত হোসেন (ধর্ষক) আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিতে ঘটনার বর্ণনায় দেন।
চাটখিল থানার ওসি মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, ধর্ষক শাহদাত স্বীকারোক্তিতে বলেছেন শিশুটি তাঁর চাচাতো বোন। তিনি ঘটনার দিন (২৪ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে বাড়ির সামনের বরই গাছের নিচে থেকে ডেকে তাঁর ঘরে নিয়ে যান। সেখানে অন্য কেউ ছিল না। তিনি শিশুটিকে মুখ ও হাত-পা চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে আছমা চিৎকার দেওয়ার চেষ্টা করলে তার নাক-মুখ চেপে ধরে তাকে মেরে ফেলেন। এরপর লাশ বস্তায় ভরে খাটের নিচে লুকিয়ে রাখেন। পরে সন্ধ্যার দিকে পাশের বাড়ির নুরনবীর ঘরের পশ্চিম পাশের শৌচাগারের ময়লার ট্যাংকের ঢাকনা খুলে সেখানে লুকান।
নিখোঁজের ১০ দিন পর সন্দেহভাজন হিসেবে শাহাদাত হোসেনকে আটক করা হয়। পরে তাঁকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি আছমাকে অপহরণ, ধর্ষণ, হত্যা ও লাশ গুম করার কথা স্বীকার করেন।
নিহত আছমার বাবা বলেন, ‘আমার সঙ্গে কারো কোনো শত্রুতা কিংবা বিরোধ নেই। আমি আমার মেয়ের হত্যাকারী শাহাদাতের ফাঁসি চাই।
আমাদের ফেইসবুক লিঙ্ক : ট্রাস্ট নিউজ ২৪