এবার পালিয় গেলেন জামাইয়-শামুড়ি। স্বামী ও মায়ের এমন কাণ্ডে ভেঙে পড়েছেন একমাত্র মেয়ে। বিচার পেতে বাবাকে নিয়ে তিনি থানায় হাজির হয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার লিলুয়া থানার জগদীশপুরে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর গোটা এলাকায় হইচই পড়ে গিয়েছে।
জানা গেছে, জগদীশপুরের বিশ্বাস পাড়ার বাসিন্দা বাবলা দাস পেশায় ভ্যান চালক। তার কন্যা প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে ২০১৭ সালে বিয়ে হয় রামপুরহাটের বাসিন্দা কৃষ্ণ গোপাল দাসের। কাজের জন্য শ্বশুরবাড়িতেই থাকতে শুরু করেন কৃষ্ণ। সেই থেকেই শাশুড়ির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠতে শুরু করে তার এবংগত শনিবার শাশুড়ির সঙ্গে পালিয়ে গেছেন কৃষ্ণ।
কৃষ্ণ গোপাল দাস দীর্ঘদিন শাশুড়ির সঙ্গে বিবাহে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। সে কারণেই তারা একসঙ্গে এলাকা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে এলাকাবাসীর ধারণা।
আর এদিকে এই ঘটনা সামনে আসার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন কৃষ্ণের স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা। মায়ের এমন কাণ্ড তিনি মানতেই পারছেন না।
প্রিয়াঙ্কা দাস বলেন, বিয়ের পর থেকে তার ওপর শারীরিক অত্যাচার চালাত স্বামী কৃষ্ণ। তাকে মারধর করা হত। দীর্ঘদিন তাকে শ্বশুরবাড়িতে রেখে চলে আসে স্বামী। আর থাকতে শুরু করেন তার মায়ের সঙ্গে।
মায়ের হাত ধরে স্বামীর পালিয়ে যাওয়াটা মেনে নিতে পারেননি তিনি। শেষেমেষ পুলিশের কাছে বিচার চেয়েছেন তিনি।
কৃষ্ণের বিরুদ্ধে লিলুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুরো ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
আমাদের ফেইসবুক লিঙ্ক : ট্রাস্ট নিউজ ২৪