কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার মিথলমা গ্রামের দুলাল মিয়ার কন্যা তাসলিমা (১৯)। পারিবারিকভাবে প্রায় আট মাস আগে তার বিয়ে হয় কুমিল্লা মহানগরীর মুরাদপুর এলাকার ফারুক মিয়ার ছেলে সুজন মিয়ার সঙ্গে।
বিয়ের অল্প সময় পর থেকেই সুজন নানাভাবে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে। এরই জের ধরে প্রায় দেড় মাস আগে তাসলিমা চলে আসেন বাবার বাড়ি। এ সময় স্বামী কৌশলে মোবাইল ফোনে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সময় কিছু আপত্তিকর ছবি তুলে রাখে। ছবিগুলো বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে।
পরবর্তীতে স্বামী-স্ত্রীর বিরোধ নিষ্পত্তিতে ১২ মার্চ জুমার নামাজের পর তাসলিমার বাবা দুলাল মিয়া এলাকার কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে নগরীর মুরাদপুর সুজনের বাড়িতে যান। এ সময় স্বামী সুজন মেয়ে চরিত্রহীনসহ আপত্তিকর ছবি দেখিয়ে আর সংসার করবে না বলে তাদের জানিয়ে দেন। বিষয়টি তাসলিমা জানতে পেরে অপমানে শনিবার (১৩ মার্চ) সকালে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এ সময় পরিবারের সদস্যরা টের পেয়ে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে বুড়িচং থানার দেবপুর ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) কামালের নেতৃত্বে একদল পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিয়ের অল্প কয়েক দিন পর থেকেই সুজন স্ত্রীর কাছে মোবাইল ফোন, বিদেশি কম্বলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র দাবি করতে থাকে। এমনকি তাকে বিদেশ নিয়ে যেতেও চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে প্রায় দেড় মাস আগে তাসলিমা বাবার বাড়ি চলে আসেন।
পরবর্তীতে সুজন তাসলিমার সঙ্গে কথা বলার ফাঁকে মোবাইল ফোনে বেশকিছু আপত্তিকর ছবি তুলে নেয়। এরপর নানাভাবে তাকে উত্ত্যক্তসহ টাকা চেয়ে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্টনিউজ২৪