ভারত থেকে গাছ গজানো পুরাতন পেঁয়াজ আমদানি করে বিপাকে পড়েছেন হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা। আড়তগুলোতে বিক্রির অপেক্ষায় পড়ে আছে টনে টনে পেঁয়াজ। আড়তেই নষ্ট হচ্ছে এসব পেঁয়াজ। এদিকে কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শ্রমিক দিয়ে ছাঁটাই করা হচ্ছে পেঁয়াজ থেকে গাছ।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে স্বাভাবিক রয়েছে ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি। পেঁয়াজ আমদানির পরে স্থলবন্দর থেকে চলে বেচাকেনা। আর বন্দরের বিক্রির বাকি পেঁয়াজ নেওয়া হয় আড়তে।
এদিকে আড়তগুলোতে প্রতিদিন ভোর থেকে আসে পাইকাররা। চলে জমজমাট পেঁয়াজ বেচাকেনা। তবে দেশির মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ বেশি হওয়ায় অনেকটাই কমে গেছে আড়তগুলোতে পাইকার।
শনিবার (১ জানুয়ারি) সকালে হিলির সিনেমা হলের সামনে পেঁয়াজের আড়তে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন নারী শ্রমিক দুভাগে পেঁয়াজ থেকে পাতা ছাঁটাই করছে। আবার কেউ পচা পেঁয়াজ আলাদা করছে। অনেকের মুখে মাস্ক লাগানো, কারণ পচা পেঁয়াজ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
আড়তদারের এক প্রতিনিধির তিনি বলেন, আমাদের ঘরে ৪০ থকে ৫০ টন পেঁয়াজ বিক্রির অপেক্ষায় পড়ে আছে। এসব পেঁয়াজ ক্রেতা সংকটের কারণে বিক্রি করতে পারছি না। ক্রেতার অভাবে পেঁয়াজের মধ্যে গাছ উঠতে শুরু করেছে, আবার অনেক পেঁয়াজ পচে নষ্ট হয়ে গেছে। এসব পেঁয়াজ থেকে গাছ ছাঁটায়ের জন্য নারী শ্রমিক কাজে লাগানো হয়েছে। এদিকে পেঁয়াজ বিক্রির জন্য অর্ধেক দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে করে লোকসানে পড়ছি।
পেঁয়াজ কিনতে আসা এক পাইকার বলেন, আমি ভাদুরিয়া থেকে পেঁয়াজ কিনতে এসেছি, এসে দেখছি পেঁয়াজের আড়তগুলোতে ভালো পেঁয়াজ নাই, তাই চলে যাচ্ছি। তার পরেও দেখে শুনে এসবের মধ্য দিয়ে কিছু পেঁয়াজ কিনলাম।
আরেক পাইকার বলেন, আমি ঘোড়াঘাট থেকে পেঁয়াজ কিনতে এসেছিলাম, যা দেখলাম আড়তগুলোতে যত পেঁয়াজ আছে, সবই গাছ উঠানো পেঁয়াজ এবং পচা পেঁয়াজ, ভালো পেঁয়াজ একটাও নেই, তাই পেঁয়াজ না নিয়ে ফেরত যাচ্ছি।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্ট নিউজ ২৪