উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় মার্কিনিরা। বুধবার (২০ জানুয়ারি) বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠান। আর এ অনুষ্ঠানের সময় যতই এগিয়ে আসছে ঘুমোটভাব ততই বাড়ছে। রাজপথে সাধারণ মানুষের চলা ফেরাতেও অস্বস্তি লক্ষ্য করা গেছে। কিন্তু ব্যতিক্রম অবস্থানে ট্রাম্পের সশস্ত্র সমর্থকরা। প্রশাসনের তোয়াক্কা না করেই সোমবার (১৮ জানুয়ারি) ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যে ভারী অস্ত্র হাতে দাপটের সঙ্গে রাজপথে মহড়া দেয় অনেকে।
এদিন সামরিক পোশাকের আদলে বিশেষ পোশাকে ভার্জিনিয়ার রাজপথে বেরিয়ে আসে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একদল সমর্থক। তাদের সবারই হাতে ছিল সংক্রিয় আধুনিক অস্ত্র। বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানের বিরোধিতায় তারা অস্ত্র নিয়ে বিক্ষোভ করেন। হাতে ছিল প্ল্যাকার্ডও। একজন বিক্ষোভকারী বলেন, ‘আমরা এখানে শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা করছি। কোনো ধরনের সহিংস আচরণ কেউ করেনি। তবে নিরাপত্তা বাহিনী আমাদের সঙ্গে যা করছে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’ বিক্ষোভকারীরা এক পর্যায়ে গাড়ি নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় মহড়া দেয়। তাদের কণ্ঠে ছিল ‘কিপ আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’।
ট্রাম্পের শাসনামলে নানা কারণেই ক্ষুব্ধ কৃষ্ণাঙ্গরা। বিশেষ করে নির্বাচনের আগে দীর্ঘদিন ব্ল্যাক লাইভ ম্যাটরস বা বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন উত্তপ্ত ছিল যুক্তরাষ্ট্র। পুলিশি নির্যাতনে এক কৃষ্ণাঙ্গ নিহতের ঘটনার জেরে ট্রাম্পের ওপর যতটুকু আস্থা ছিল তাও শেষ হয়ে যায়। কিন্তু সোমবারের বিক্ষোভে কৃষ্ণাঙ্গদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
নামে বেনামের ব্যানারে গাড়ি নিয়ে মহড়া দেন তারা। কিন্তু পুলিশকে কোনো ধরনের অ্যাকশনে যেতে দেখা যায়নি। আগামী ২০ জানুয়ারি বুধবার শপথ নিতে যাচ্ছেন জো বাইডেন। আর এতেই শেষ হচ্ছে ট্রাম্পের অধ্যায়। বুধবার সকালেই ট্রাম্প হোয়াইট হাউস ছেড়ে যাচ্ছেন বলে খবরে জানা গেছে।
বাইডেনের শপথ গ্রহণকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে নাশকতার আশঙ্কায় জোরদার করা হয়েছে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিরাপত্তা হুমকির জেরে ক্যাপিটল হিলে জারি করা হয়েছে লকডাউন। তবে জো বাইডেনের শপথ গ্রহণের পরও নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করেছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
আগামী কয়েকদিন রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে সব ধরনের সভা সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন প্রশাসন।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্টনিউজ২৪