মোঃ নুর ইসলাম, দিনাজপুর \ দিনাজপুর ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মোঃ হাসান আসকরী, সার্জেন্ট মোঃ রেদওয়ানুর ও রুবেল শহরে তাদের দায়িত্ব পালন করার সময় এক মোটর সাইকেল আরোহীর হেলমেট না থাকায় তাকে মামলা প্রদান করেন। মামলাটি গত জুলাই মাসে করা হয় পরবর্তী সময়ে উক্ত মামলাটি নিষ্পত্তি করেন ঐ মোটরসাইকেল আরোহী। উক্ত মোটরসাইকেল আরোহীকে যে সময় মামলা প্রদান করা হয় সেই সময় পুলিশ পরিদর্শক মোঃ হাসান আসকরীকে উক্ত মোটরসাইকেল আরোহী বলেন, আপনারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্নভাবে মানবতার সেবা করে আসছেন, বিগত লকডাউন এরপর থেকে আমি প্রায় কর্মহীন অবস্থায় রয়েছি। আমি একটি কিন্ডার গার্ডেন স্কুল শিক্ষকতার কাজ করছিলাম কিন্তু বর্তমানে উক্ত কিন্ডারগার্টেন স্কুল কার্যক্রম বন্ধ, অনেকদিন ধরে কোন বেতন পাচ্ছিনা, বাড়ী বাড়ী গিয়েও টিউশনের ব্যবস্থা গুলোও বন্ধ রয়েছে, এমনতো অবস্থায় আমার পক্ষে একটি হেলমেট কেনা এখন খুব দুঃসাধ্য বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে তাই আপনাদের পক্ষ থেকে যদি একটি আমাকে হেলমেট দেওয়া হয়, আমি চির কৃতজ্ঞ থাকব। সে সময় দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ পরিদর্শক মোঃ হাসান আসকরী, সার্জেন মোঃ রেদওয়ানুর ও রুবেল বলেন আগামী আগস্ট ৫ তারিখের মধ্যে আপনারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন আমরা কথা দিচ্ছি আপনাকে একটি হেলমেট প্রদান করব।
যেই কথা সেই কাজ অদ্য ৫ আগষ্ট বৃহস্পতিবার উক্ত মোটর সাইকেল আরোহী আব্দুল খালেক মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেন পুলিশ পরিদর্শক মোঃ হাসান আসকরীর সাথে তিনি বলেন আপনি আসেন আপনার হেলমেট নিয়ে যান। তারপর তাকে হেলমেট প্রদান করেন হাসান আসকরীসহ তার সহযোগীবৃন্দ।
হেলমেট পেয়ে কর্মহীন বিরল উপজেলার আব্দুল খালেক আবেগপূর্ণ হয়ে প্রায় কেঁদে ফেলেন। অশ্রæ ভরা চোখ দেখে অন্যান্য পুলিশ সদস্যরাও আবেগে ভেঙ্গে পড়েন। হেলমেট পেয়ে আব্দুল খালেক বলেন, এভাবে কারো কাছে সহযোগিতা চাইলে তা সহজেই পূরণ হয় এটি আমার জীবনের প্রথম দেখা এতদিন ধরে আমি আমার কর্ম জীবনে বিভিন্ন স্থানে জীবনের অনকটা সময় অতিবাহিত করে আসছি, মানুষের কাছে সহযোগিতা চাইলে তা দেয়াতো দূরের কথা আরও বিভিন্ন কটুক্তি কথা শুনতে হয়, কিন্তু এই ট্রাফিক পুলিশ ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সুন্দর আচরণ এবং সহযোগিতা পেয়ে আমি অনেক আনন্দিত।
আমি দোয়া করি পুলিশ বিভাগের সকল সদস্যরা যেন আমার মত সকল অভাবি এবং অসহায় মানুষগুলোকে মানবিক সাহায্যে প্রদান কওে দোয়া ও আশীর্বাদ নেন।