কক্সবাজার উপকূলে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপসহ কক্সবাজারে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। জোয়ারের পানির উচ্চতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘূর্ণিঝড় থেকে বাঁচতে বা ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে কক্সবাজারের আশ্রয়কেন্দ্রে দুই লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত উপকূলের বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে ২ লাখ ২৭ হাজার ৪২৫ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন হোটেল এবং আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আরও ৫০ থেকে ৬০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। দুপুরের মধ্যে উপকূলের ৭০০টি আশ্রয় কেন্দ্রে তিন লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারে বলে জানায় জেলা প্রশাসন।
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ কারণে কক্সবাজার উপকূলীয় অঞ্চলের বসবাসরত মানুষদের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদে সরিয়ে আনছে স্থানীয় প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা যেহেতু কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপের পাশ ঘেঁষে যাবে, সেজন্য সেন্টমার্টিন দ্বীপের জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপের তিন হাজার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য টেকনাফে চলে এসেছে। এছাড়া দ্বীপের ৩৭টি হোটেল-রিসোর্টে সাড়ে চার হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এই দ্বীপে ৯ হাজার মানুষের বসবাস। কক্সবাজারের ৬৮টি হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেছে কক্সবাজার হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতি।
আমাদের ফেসবুক লিঙ্কঃট্রাস্ট নিউজ ২৪