দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ২০২৩ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১ লাখ ১০ হাজার ৮৭৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৮২ হাজার ৫৭৯ জন। পাশের হার ৭৪.৪৮। এবার শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৪৫৯ জন।
রংপুর বিভাগের ৮টি জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি জিপিএ-৫ পেয়ে শীর্ষে অবস্থান রংপুর জেলার শিক্ষার্থীরা। তবে ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীরা জিপিএ-৫ এবং পাসের হারে এগিয়ে রয়েছে।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর স. ম. আব্দুস সামাদ আজাদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
রবিবার দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের দেয়া তথ্যমতে, চলতি বছরে এই বোর্ডের অধীনে ৮টি জেলার মোট ৬৭১টি কলেজের ৮২ হাজার ৫৭৯ জনকে কৃতকার্য দেখানো হয়েছে। মোট জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩ হাজার ৬৫ জন ছাত্র ও ৩ হাজার ৩৯৪ জন ছাত্রী। গত বছরের তুলনায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও জিপিএ-৫ এর সংখ্যাও প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। তবে ছেলের তুলনায় মেয়েরা জিপি-এ ৫ বেশি পেয়েছে। গত বছরে শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয় ৯৯ হাজার ৭০৫ জন আর জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ১১ হাজার ৮৩০ জন। আর এবারে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৪৫৯ জন এবং গত বছরের তুলনায় ৫ হাজার ৩৭১ জন জিপিএ-৫ কম পেয়েছে।
রংপুর বিভাগের ৮টি জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছে রংপুর জেলার শিক্ষার্থীরা। এই জেলায় মোট ২ হাজার ৭২১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দিনাজপুর জেলার শিক্ষার্থীরা, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ২৩০ জন। এছাড়াও ৭৫৫ জন জিপিএ-৫ নীলফামারী, ৭২১ জন জিপিএ-৫ গাইবান্ধা, ৩৫৭ জন জিপিএ-৫ ঠাকুরগাঁও, ৩৩৩ জন জিপিএ-৫ কুড়িগ্রাম, ২১৮ জন জিপিএ-৫ লালমনিরহাট এবং ১২৪ জন জিপিএ-৫ পঞ্চগড় পেয়েছে।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে এবার ১৬টি কলেজের একজনও পাস করতে পারেনি। গত বছরের চেয়ে আরও বেড়েছে শূন্য ফলাফল প্রাপ্ত কলেজ সংখ্যা।
আমাদের ফেইসবুক লিংক : ট্রাস্ট নিউজ ২৪