ফরিদগঞ্জে ইলেকট্রিক শক দিয়ে মাছের শিকার। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ইলেকট্রনিক্স সার্কিট দিয়ে অবৈধ ভাবে মাছ শিকার বৃদ্ধির পাশাপাশি দুর্ঘটনার আশংকাও বেড়েছে অনেক ।উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা আকতার রুমা জানান, এর বিরুদ্ধে তারাতারি অভিযান চালাবেন।
এলাকাবাসীদের থেকে জানা যায়, ২৪ ভোল্টের ব্যাটারি দিয়ে ইনর্ভাটার মিশিনের মাধ্যমে ডিসিকে এসিতে রুপান্তর করা হয়। পবর্তিতে পানিতে নেগেটিভ আর লাঠির সাথে জাল বেঁধে ওই লাটির মাথায় বিদ্যুতের প্রজিটিভ লাইনটি দিয়ে পানিতে প্রবেশ করানো হয়। এতে চারপাশের প্রায় ১৫-২০ ফিট পানি বিদ্যুতায়িত হয়ে যায় ফলে ওই স্থানে থাকা জলজ প্রাণিসহ সকল মাছ মারা যায়।
এভাবে মাছ ধরতে গিয়ে আহত হন ইদ্রিস বেপারী নামে এক ব্যক্তি। তিনি জানান, আমি পানিতে ডুব দিলে তাদের নিয়ন্ত্রিত কারেন্টের আওতায় চলে যাই, এসময় ইলেকট্রিক শক শরীরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দূরে গিয়ে তীরে উঠি। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসাপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে ৪দিন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আমাকে ৩ মাসের চিকিৎসা দিয়ে রিলিজ দিয়েছে চিকিৎসক।
সুএে জানা যায়, অনেকদিন ধরে মাছ শিকার চলছে ওরা বারণ কোন ভাবেই মানছে না।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা আকতার রুমা জানান, ইলেকট্রনিক্স সার্কিট দিয়ে এভাবে সরাসরি মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষেধ। অনতি বিলম্বে অভিযানে পরিচালনা করে এদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে অভিযান পরিচালনা করে মাছ নিধণের সময় প্রায় লক্ষাধিক টাকার জাল জব্দ করা হয়েছে।
আমাদের ফেইসবুক link : ট্রাস্ট নিউজ ২৪