ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া ও ইয়েমেন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধা করেন। নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডন্টে জো বাইডেন হোয়াইট হাউজে এসে প্রথম দিনেই যে চারটি নির্বাহী আদেশ জারি করার পরিকল্পনা করছেন তার মধ্যে রয়েছে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কিছু দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন তা তুলে নেয়া। বাইডেনের প্রচারণা শিবিরের ম্যানেজার এ তথ্য জানিয়েছেন।
বাকি তিন নির্বাহী আদেশ হলো- জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যারিস চুক্তিতে পুনরায় যোগদান, শিশু অভিবাসীদের জন্য ডিএসিএ কর্মসূচি পুনরায় বহাল করা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় পুনরায় সংযুক্ত হওয়া। প্রচারণা শিবির সোমবার রাতে ফক্স নিউজকে এ তথ্য দিয়েছে, খবর দ্য ডন। গত শনিবার ফক্স নিউজ ও আরও বেশকিছু মার্কিন মিডিয়া ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেন জয়ী হয়েছেন বলে জানায়।
আইন বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছিল যে মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞাটি সহজেই তুলে নেয়া যাবে। কারণ এটি নির্বাহী আদেশ ও রাষ্ট্রপতির ঘোষণা দিয়ে জারি করা হয়েছিল। কিন্তু মামলার কারণে প্রক্রিয়াটি বিলম্বিত হতে পারে। বাইডেন অক্টোবরে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে যুক্তরাষ্ট্রে ক্রমবর্ধমান হেইট ক্রাইম রোধে আইন করতে তিনি রাজনীতিবিদদের রাজি করাবেন।
তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট হিসেবে, আমি আপনার অবদানকে সম্মান জানাতে আমাদের সমাজ থেকে ঘৃণার বিষ উপড়ে ফেলতে আপনাদের সাথে কাজ করব এবং আপনাদের ভাবনা জানতে চাইব। আমার প্রশাসন হবে আমেরিকার মতো দেখতে। যেখানে মুসলিম আমেরিকানরা কাজ করছেন প্রতিটি স্তরে।’ ট্রাম্প বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া ও ইয়েমেন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধা করেন। ধর্মীয় কারণে এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় বলে সমালোচনা রয়েছে।