করোনাভাইরাস ছড়ানোর প্রায় এক বছর পর বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে এর ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করছে ব্রিটেন। প্রায় ৯৫ শতাংশ সুরক্ষা দিতে সক্ষম মার্কিন প্রতিষ্ঠান ফাইজারের ভ্যাকসিনের গণহারে প্রয়োগ হবে দেশটিতে। এদিকে আগামী সপ্তাহে কোভিডের ভ্যাকসিনের প্রয়োগ শুরু হলে, মহামারি কেটে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেন, অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করবে টিকা কর্মসূচি।
যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় আর ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা মিলে তৈরি করছে করোনার ভ্যাকসিন। তবে তাদের উদ্ভাবিত টিকা নিয়ে এখনও রয়েছে নানা প্রশ্ন। সে জটিলতায় না গিয়ে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে, ব্রিটেন মার্কিন ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার ও জার্মানির বায়োএনটেক-এর ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করতে যাচ্ছে। আগামী সপ্তাহ থেকে এর প্রয়োগ শুরু হবে।
এ নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেন, ভ্যাকসিন পেলে করোনা ছড়ানো কমবে। মানুষ কাজে মন দেবে আর অর্থনীতি গতিশীল হবে। বরিস জনসন বলেন, মাইনাস ৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় রাখতে হবে এই ভ্যাকসিনকে। তিন সপ্তাহের মধ্যে প্রতিজন দুটি করে ভ্যাকসিন নেবেন। তাই এটি সংরক্ষণই মূল চ্যালেঞ্জ আমাদের। টিকা প্রয়োগের মতো বড় কাজ যখন শুরু হচ্ছে, আশা করছি এই সমস্যাও কাটিয়ে উঠবো আমরা। এর আগে পার্লামেন্টে বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানান আগ্রহীদের ভ্যাকসিন গ্রহণে এগিয়ে আসতে। সরকার এ ক্ষেত্রে কাউকে চাপ প্রয়োগ করবে না।
জানা গেছে, আপাতত ৫০টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দেয়া হবে ফাইজারের ভ্যাকসিন। মার্কিন ও জার্মানির উদ্যোগে তৈরি এ টিকা করোনা থেকে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত সুরক্ষা দিতে সক্ষম। ব্রিটেন ৪ কোটি ডোজ নিচ্ছে, যা ২ কোটি মানুষের জন্য পর্যাপ্ত। এই প্রতিষেধকের দাম পড়বে প্রায় ২০ ডলার। সাধারণত একটি ভ্যাকসিন সরবরাহে এক দশকের বেশি সময় লাগলেও মাত্র দশ মাসে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলো ফাইজার ও বায়োএনটেক। যার ধারাবাহিকতায় চুক্তি সম্পন্ন করা অন্য দেশগুলোও এবার আগ্রহী হবে ফাইজারের টিকা কার্যক্রম শুরু করতে।