মামলায় অভিযোগে বলা হয়, গতকাল শুক্রবার বিকেলে বাদী আল আদিন পৌর নির্বাচনে নৌকার পক্ষে প্রচারণার সময় শহরের কালিপুর এলাকায় গেলে আসামিরা তাকে আটকিয়ে তার মটরসাইকেলটি পুড়িয়ে দেয়। এসময় তাকে আসামিরা মারধর করার সময় এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে।
মামলায় উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আল মামুনকে আসামি করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিরা হলেন দৈনিক দিনকাল পত্রিকার ভৈরব প্রতিনিধি সোহেলুর রহমান সোহেল(৫০) , আঙ্গুর মিয়া (৫৮), ইমতিয়াজ আহমেদ কাজল(৩৫), মুকিত মিয়া(২৫) , লোকমান মিয়া (৩২), উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সুজন মিয়া (৪৪), তোফাজ্জল মিয়া (৩৫), যুবদল নেতা জুবায়ের আল মাহমুদ আফজাল (৪৩) , আক্তার হোসেন (৪০), এনামুল (৩৫), হানিফ মিয়া (৪৮), নজরুল খাঁন (৫৭), জাকারিয়া ফারুক (৫০), নাছির মোল্লা (৫০), বাছির মোল্লা (৪৫), নবী হোসেন (৩৫), কামরুজ্জামান রকি (৪২) ও জিনাত (২৩)। মামলায় স্বাক্ষী করা হয় ৩ জনকে।
ভৈরব উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবদল নেতা আল মামুন জানান, মামলায় অভিযোগের ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। আগামীকাল ভৈরব পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রার্থীকে বিজয়ী করতে বিএনপির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গায়েবি মামলাটি করা হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, পৌর নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে তারা নিজেরা মটরসাইকেলটি পুড়িয়ে গায়েবি মামলাটি দায়ের করে। মামলায় যাকে বাদী ও সাক্ষী করা হয় তারা নিজেরাও মামলা সম্পর্কে অবগত নয়। মূলত নির্বাচনে বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে দূরে রাখতেই গতকাল রাতে যুবলীগ নেতা ষড়যন্ত্রমূলক গায়েবি মামলাটি করে বলেও জানান তিনি।
মামলার বাদী আল আদিনের সাথে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ কারণে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহিন জানান, থানায় যদি কেউ কোনও ঘটনায় অভিযোগ নিয়ে আসে তাহলে মামলা নিতে হয়। বাদীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা নেয়া হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্টনিউজ২৪