দিনাজপুরে পানির দামে গরুর চামড়া বিক্রি হলেও ছাগলের চামড়া কেনেনি কেউ। ফেলে যাওয়া ছাগলের ফেলে দেওয়া হয়েছে ভাগাড়ে। আর বৃষ্টির কারণে গরুর চামড়া প্রক্রিয়াজাত করা নিয়ে চরম বিপাকে ব্যবসায়ীরা।
গতকাল শুক্রবার (৩০ জুন) বেলা ১১টায় দিনাজপুর পৌরসভার ময়লা পরিবহন ট্রাকে তুলে মাতাসাগর ময়লার ভাগাড়ে ফেলে দিতে দেখা গিয়েছে । অন্যদিকে বৃষ্টির কারণে অনেক চামড়া পানিতে ডুবে গিয়েছে ।
কোরবানি দেওয়ার পর আগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চামড়া কেনার প্রতিযোগিতা থাকতো। এ বছর ব্যবসায়ীরা গরুর চামড়া কিনেছেন সর্বোচ্চ ৪০০ এবং সর্বনিম্ন ১০০ টাকায়। ছাগলের চামড়া ফ্রিতেও কেউ নেয়নি। এতে ছাগল এবং ছোট ছোট গরুর অনেক চামড়াই ফেলে দিতে বাধ্য হয়েছে সাধারণ মানুষ।
এদিকে বৃষ্টিতে চামড়ায় লবণ লাগানো নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার সকালে দেখা যায়, রামনগর চামড়া বাজার এলাকায় হাজার হাজার ছাগলের চামড়া রাস্তায় পড়ে আছে। রাতের ও সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভারী বর্ষণ শুরু হলে ছাগলের চামড়াগুলো রাস্তায় বৃষ্টির পানিতে ভাসতে দেখা যায়। বৃষ্টিতে শ্রমিক সংকট দেখা দেওয়ায় গরুর চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য চামড়া লবণ লাগানো নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
রামনগরে ছাগলের চামড়া নিয়ে আসা ফারুক হোসেন বলেন. তিনি ১০০ ছাগলের চামড়া নিয়ে এসেছেন। কিন্তু কেউ এক পয়সাও দাম বলছে না। তাই তিনি চামড়া ফেলে দিয়ে চলে যাচ্ছেন।
দিনাজপুর পৌরসভার ময়লা পরিবহন ট্রাকের গাড়িচালক আমানুল্লাহ হাসান নয়ন জানান, রামনগর মোড় ফেলে যাওয়া ছাগলে চামড়া ট্রাকে করে তুলে নিয়ে মাতাসাগর মলার ভাগাড়ে ফেলছেন। তিনি চার গাড়ি ছাগলের চামড়া ভাগাড়ে ফেলেছেন।
দিনাজপুর চামড়া ব্যবসায়ী মালিক গ্রুপের সভাপতি বলেন, চামড়ার ব্যবসা এমনিতেই খারাপ। চামড়া নিয়ে এমনিতেই বিপদে আছি, আবার বৃষ্টি। শ্রমিকরা কাজ করছে না, মানবিক কারণে বৃষ্টিতে ভিজে কাজ করতেও বলা যাচ্ছে না। হাজার হাজার চামড়া রাস্তার ধারে পড়ে আছে। জানি না চামড়াগুলোকে প্রক্রিয়াজাত করতে পারবো কি না।