দিনাজপুরে শ্রমিক খরচ কম ও অল্প সময়ে জমিতে ‘রাইস ট্রান্সপ্লান্টার’ দিয়ে ধানের চারা রোপণে খরচ ও সময় উভয়ই বেঁচে যাওয়ায় কৃষকদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। শ্রমিক দিয়ে কাজ করলে সময় ও খরচ দু’টোই বেশি লাগে এবং এ যন্ত্রের মাধ্যমে করতে পারলে দু’টোই কম লাগে। এতে কৃষকরা আরও বেশি লাভবান হবে।
এবার আমন ধানের ভালো ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় বোরো চাষে কৃষক পুরোদমে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন। অত্যাধুনিক যান্ত্রিক পদ্ধতিতে রোপণ করছেন বোরো ধান। রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে অধিক জমিতে সুস্থ ও সবল চারা রোপন করা যায়। এতে সময়, শ্রম, অর্থ ও পানি সাশ্রয় হচ্ছে। পাশাপাশি জমিতে উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান উদ্যোক্তরা। সার ও সেচ নিশ্চিত হলে এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে বোরোর ভালো ফলনও আশা করছেন তারা।
বর্তমানে কৃষকরা জমি তৈরি, বোরো বীজ উত্তোলন ও রোপণের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিনের সাহায্যে অনেকে জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ করেছেন। এবার বি আর-১৬, ব্রি ধান-২৮, ব্রি ধান-২৯, ব্রি ধান-৫৮, ব্রি ধান-৬৮ ও ব্রি ধান-৭৪ সহ উচ্চ ফলনশীল জাতের বোরো চাষ করছেন কৃষকরা।
চিরিরবন্দর উপজেলার ভিয়াইল গ্রামের কৃষক মো. আমির খসরু জানান, এবার অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিনের সাহায্য জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ করছি। স্বল্প খরচে ও স্বল্প সময়ে এ কার্যক্রম কৃষকদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করেছে ।
চিরিরবন্দরের পূর্ব ভিয়াইল গ্রামে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ‘রাইস ট্রান্সপ্লান্টার’ এর সাহায্যে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ধানের চারা রোপণে কৃষক পর্যায়ে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এ রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিনের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ কার্যক্রম গত ৩ ফেব্রæয়ারি উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আয়েশা সিদ্দিকা।
চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জোহরা সুলতানা বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরশন-বিএডিসি যৌথভাবে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে বোরো ধানের চারা রোপনের এ কার্যক্রমের উদ্যোগ নিয়েছে। এতে সময়, শ্রম, অর্থ ও পানি সাশ্রয়ের পাশাপাশি জমিতে উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি পাবে। রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে বোরোর চারা রোপণের মধ্যদিয়ে কৃষিতে নতুন মাত্রা যোগ হলো।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্টনিউজ২৪