‘প্রতিনিয়ত কালুর মোড়ে ড্রেনের পানি উপচে রাস্তা ডুবে যায়। ড্রেনের পানি নাপাক (অশুদ্ধ)। রমজান মাসে এমন পানির ওপর দিয়ে নামাজে যায় অনেক মুসল্লি। এতে কতটুকু পবিত্রতা বজায় থাকে বলেন।’ কথাগুলো বলেছিলেন দিনাজপুর পৌর শহরের ৬নং ওয়ার্ডের ফকিরপাড়া এলাকার বাসিন্দা হাফিজা খাতুন। হাফিজা খাতুন ওই এলাকার মোহাম্মদ আলী সোহাগের স্ত্রী ও কালুর মোড় এলাকার আলিফ ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী।
তিনি বলেন, এই বিষয়গুলো মেয়র জাহাঙ্গির আলম ও কাউন্সিলরদেরকে একাধিকবার জানালেও কোনো প্রকার পদক্ষেপ নেয়নি। শুধু হাফিজা খাতুন নয়। তার মতো ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডবাসীর চলাচলের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে শহরের কালুর মোড় এলাকার বেহাল ড্রেনেজ ব্যবস্থা। মঙ্গলবার দুপুর থেকে ওই এলাকায় বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা অবরোধ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়দের দাবি, পৌর মেয়র, কাউন্সিলরা এর সঠিক সমাধান না করা পর্যন্ত ব্যারিকেড সরাবেন না।
কালুর মোড় এলাকাটি পৌর শহরের ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংযোগস্থল। যার পূর্বে রয়েছে জেলা শহরের বাসস্ট্যান্ড, পশ্চিমে রয়েছে বিআরটিসি কাউন্টার, দক্ষিণে রেলবাজার, পশ্চিমে চৌরাঙ্গী মোড়। আর মোড় এলাকার আশপাশ জুড়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি মেস। প্রতিনিয়ত এই মোড়ে ড্রেনের নোংরা পানি উঁপচে রাস্তায় চলে আসে। ফলে স্থানীয়রা ছাড়াও বাইরে থেকে আসা জনগণও বিপাকে পড়েন।
স্থানীয়রা জানান, ড্রেনের নোংরা পানির কারণে চলাচল, নামাজে যাওয়াসহ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান চালাতেও সমস্যা হয়। বর্ষাকালে প্রায় প্লাবিত হয়ে থাকে গোটা কালুর মোড় এলাকা।
স্থানীয় পঞ্চাশোর্ধ্ব সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের এই ড্রেন করেছেন চেয়ারম্যান সাহেব (মেয়র), এটা খুব ভালো করছেন। কিন্তু ড্রেনের সংস্কার করতে হয় এটা হয়তো তিনি জানেন না। আবর্জনা যদি একবার ওঠানোও হয় সেখানেই আবার রেখে দেওয়া হয়। এতে করে ড্রেনের ময়লা আবার ড্রেনেই চলে যায়। ফলে ড্রেন বন্ধ হয়ে পানি উপচে আসে রাস্তায়। এই নোংরা পানির উপর দিয়ে যেতে হয় নামাজে। পবিত্র থাকা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আরজু আহমেদ বলেন, বর্তমান মেয়র জাহাঙ্গীর যে দলেরই হোক আমাদের আকুল আবেদন এই ড্রেনটি যেন ঠিক করে দেন। বর্তমানে রমজান মাস, ড্রেনের নোংরা পানির ওপর দিয়ে নামাজে আসতে হয়। পবিত্রতা থাকে না। এ বিষয়ে জানতে বারবার ফোন করা হলেও মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমের ৩টি মোবাইল নম্বরই বন্ধ পাওয়া যায়।
৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ওই ড্রেনটির ব্যাপারে মেয়র সাহেব এর আগে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ড্রেনটি সংস্কার বা নির্মাণ করে দেওয়ার কথা দিয়েছেন, কিন্তু এখনও সেটি হয়নি। আমি মেয়রের কাছে ওই ড্রেনটি নির্মাণের জন্য প্রকল্প দাখিল করেছি। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী একটি ড্রেন নিজ অর্থায়নে সংস্কার করেছি।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্টনিউজ২৪