চুক্তি অনুযায়ী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাজ করে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন মিয়ানমার সেনাপ্রধান মিন অং লাইং। তবে জান্তা সরকার ক্ষমতা নেয়ায় আবারও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। রাখাইনে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
২০১৭ সালে রাখাইনে গণহত্যা ও সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে একজনকেউ এখনো ফেরানো সম্ভব হয়নি। দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সত্ত্বেও মিয়ানমার সরকারের টালবাহানায় প্রতিবারেই তা থমকে গেছে। মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চিকে গ্রেফতার ও সামরিক অভ্যুত্থানের জেরে অনেকটাই চাপা পড়ে যায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যু।
তবে অবশেষে সোমবার জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে মিয়ানমার সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের ফেরাতে কাজ করবে সেনা সরকার। তবে সু চির মতো সেনাপ্রধানও একবারের জন্যও রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারণ করেননি। মিয়ানমার সেনাপ্রধান মিন অং লাইং বলেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে চুক্তি ও আমাদের নীতি অনুযায়ী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়াদের ফেরাতে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া আমরা অব্যাহত রাখবো।
তবে যে সেনাবাহিনীর অত্যাচার নির্যাতনে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে সেই জান্তা সরকারের কাছে তারা কতটুকু নিরাপদ তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। সেনা অভ্যুত্থানের কারণে নতুন করে রোহিঙ্গা ঢলেরও আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক খায়ের মাহমুদ বলেন, রাখাইনে ছয় লাখের মত রোহিঙ্গা রয়েছে। তাদেরকে আবারও জোর করে বিতাড়িত করা হবে না সে নিশ্চয়তা নেই। সে বিষয়ে আমাদের নজর রাখতে হবে। এরইমধ্যে রাখাইনে থাকা ৬ লাখ রোহিঙ্গার ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘসহ মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
আমাদের ফেইসবুক Link : ট্রাস্টনিউজ২৪