স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) নির্বাচন বিধিমালা ২০১০ অনুসারে কোনো প্রার্থী প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ না পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। সেই হিসাবে দিনাজপুরের তিনটি পৌরসভা নির্বাচনে সাত মেয়র প্রার্থী তাঁদের জামানত হারাচ্ছেন।
এর মধ্যে দিনাজপুর পৌরসভায় তিনজন, বীরগঞ্জে দুজন এবং বিরামপুর পৌরসভায় দুজন মেয়র প্রার্থী রয়েছেন। দিনাজপুর জেলা সহকারী নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জায়েদ ইবনে ফজল বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুসারে মনোনয়নপত্র কেনার সময় একজন প্রার্থীকে জামানত হিসেবে ২৫ হাজার টাকা নির্বাচন কমিশনে জমা রাখতে হয়। নির্বাচন শেষে প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ বা তার বেশি ভোট পেলে সেই প্রার্থীকে তাঁর জামানত ফেরত দেওয়া হয়। দিনাজপুর পৌর নির্বাচনে যেসব প্রার্থী ওই সংখ্যক ভোট পাননি তাঁদের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হবে। গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যেই এই কাজটি সম্পন্ন করা হবে।
দিনাজপুরের তিনটি পৌরসভায় মেয়র প্রার্থী হয়েছিলেন ১৪ জন। এর মধ্যে বীরগঞ্জ পৌরসভায় পাঁচজন, বিরামপুরে চারজন এবং দিনাজপুর পৌরসভায় পাঁচজন। এর মধ্যে সাতজন প্রার্থী প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ পাননি। তাঁদের মধ্যে বিএনপি–সমর্থিত দুজন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ–সমর্থিত দুজন, জাতীয় পার্টির একজন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির একজন এবং বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন একজন।
নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দিনাজপুর পৌরসভায় ভোটারসংখ্যা ১ লাখ ৩০ হাজার ৮০৩। এর মধ্যে ভোট পড়েছে ৭৪ হাজার ৮৫৩টি। সেই হিসাবে প্রার্থীকে তাঁর জামানত ফেরত পেতে হলে ৯ হাজার ৩৫৬টি ভোট পেতে হবে। কিন্তু এই পৌরসভায় মেয়র পদে জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আহমেদ শফি রুবেল ভোট পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৫৮টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী হাবিবুর রহমান রানা ৫৭৪ ভোট এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি মনোনীত কাস্তে প্রতীকে মেহেরুল ইসলাম পেয়েছেন ৪৭২ ভোট।
বীরগঞ্জ পৌরসভায় ভোটারসংখ্যা ১৫ হাজার ৫৪৫। এর মধ্যে ভোট পড়েছে ১২ হাজার ১২৭টি। সেই হিসাবে প্রার্থীকে তাঁর জামানত ফেরত পেতে হলে প্রাপ্ত ভোট হতে হবে ১ হাজার ৫১৫টি। কিন্তু এই পৌরসভায় মেয়র পদে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মোকারম হোসেন ভোট পেয়েছেন ৯৯৮টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী শাহ আলম পেয়েছেন ২৬৬ ভোট।
বিরামপুর পৌরসভায় ভোটারসংখ্যা ৩৬ হাজার ৭৪৮ জন। এর মধ্যে প্রদত্ত ভোটসংখ্যা ২৭ হাজার ৬১৫টি। সেই হিসাবে প্রার্থীকে তাঁর জামানত ফেরত পেতে হলে প্রাপ্ত ভোট হতে হবে ৩ হাজার ৪৫১টি। কিন্তু এই পৌরসভায় মেয়র পদে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হুমায়ুন কবির ভোট পেয়েছেন ১ হাজার ৮০৪টি এবং বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আজাদুল ইসলাম আজাদ মোবাইল ফোন প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৪১৫ ভোট।