পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না নিয়ে এবং ইট প্রস্তুত ও ভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন অমান্য করে ভাটা পরিচালনা করার দায়ে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় চারটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় আরেকটি ইটভাটার মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোজিনা আক্তার ও দিনাজপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এ কে এম সামিউল আলম ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানের সময় উপজেলার হরিপুর এলাকার রফিকুল ইসলামের আরএআর, চকদুলু এলাকার মিনহাজুল ইসলামের এমএমবি, রামভদ্রপুর এলাকার তোজাম্মেল হকের টিএমবি এবং আমতলা গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের এমএসবি নামের ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া এ সময় হরিপুর এলাকার আমিনুল ইসলাম পরিচালিত এএসএম ইটভাটাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরিবেশ অধিদপ্তর দিনাজপুরের পরিচালক এ কে এম সামিউল আলম বলেন, আদালতের নির্দেশে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করা হয়েছে। অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ব্যতীত যতগুলো ইটভাটা রয়েছে, প্রতিটি ভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোজিনা আক্তার বলেন, ভাটায় স্থায়ীভাবে (ফিক্সড) চিমনি করে যারা ভাটার কার্যক্রম চালিয়ে আসছে, তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। যেসব ভাটায় স্থায়ী চিমনি ব্যবহার না করে ইট তৈরির কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের প্রাথমিকভাবে জরিমানা করা হচ্ছে। ২০১২ সালের পরিবেশ দূষণকারী সনাতন পদ্ধতির ফিক্সড চিমনি ইটভাটায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।