
তুরস্কে শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের ঘটনায় তুরস্ক ও প্রতিবেশী সিরিয়ায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ৩ হাজার মানুষ।
ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের বর্ণনা দিয়েছেন বেঁচে ফেরা তুরস্কের মালত্য শহরের বাসিন্দা এক তরুণী। তার নাম ওজগুল কনাকচি।
ওজগুল বলেন, ‘চোখের সামনে ভবনের জানালাগুলো সশব্দে চূর্ণবিচূর্ণ হতে দেখেছি।’
তিনি জানান, ভূমিকম্পের সময় তিনি ও তার ভাই ঘুমাচ্ছিলেন। আমরা একে অপরের দিকে তাকিয়ে বলি, ‘তুমি কি কাঁপছ?
ওজগুল আরও বলেন, আমি ল্যাম্পের (বাতি) দিকে তাকালাম। মনে হচ্ছিল ল্যাম্পটি ভেঙে যাচ্ছে। আমরা আমাদের ৩ বছর বয়সি ভাতিজাকে সঙ্গে নিয়ে লাফিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। আমাদের চোখের সামনে আফটার শকে একটি ভবনের জানালাগুলো ভেঙে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়।
ভূমিকম্পে ওজগুলদের ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের আশপাশের ৫টি ভবন ধসে গেছে।
তিনি আরও বলেন, সব লোক এখন রাস্তায় অবস্থান করছেন। তারা কী করবে, তা নিয়ে বিভ্রান্ত।
আবহাওয়াবিদদের মতে, শক্তিশালী ভূমিকম্পের পরে আফটারশকগুলো কয়েক ঘণ্টা এবং এমনকি কয়েক দিনও অব্যাহত থাকতে পারে।
প্রসঙ্গত, স্থানীয় সময় সোমবার ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় কাহরামানমারাস প্রদেশে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিগত ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তুরস্কে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প এটি।